উত্তর : মৃত্যুর আগে হোক বা পরে হোক, ফয়তা নামক প্রচলিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। কেননা বিশেষ কোন উপলক্ষ বা দিবসকে কেন্দ্র করে এভাবে খাওয়ালে তা বিদ‘আতে পরিণত হবে। উল্লেখ্য যে, সাধারণ ছাদাক্বা হিসাবে যেকোন লোককে খাওয়ানোতে দোষ নেই। এতে ধনী-গরীব শর্ত নয়। তবে অসহায়-গরীবদের খাওয়ালে অধিক কল্যাণ রয়েছে (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৭২/২; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২৯২)। যেমন জনৈকা বৃদ্ধা ছাহাবী প্রতি জুম‘আয় লোকদের খাওয়ানোর আয়োজন করতেন। সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, জুম‘আর দিন আসলে আমরা খুবই খুশী হ’তাম। এক বৃদ্ধা আমাদের জন্য ‘সিলক্ব’ (السِّلْقُ) (শালগম জাতীয় এক প্রকার সুস্বাদু সবজি)-এর মূল তুলে তা তাঁর হাঁড়িতে চড়িয়ে দিতেন। তারপর এতে অল্প কিছু যব ছেড়ে দিতেন। ছালাতের পর আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ খাবার আমাদের সম্মুখে হাযির করতেন। এ কারণেই জুম‘আর দিন আসলে আমরা খুব খুশী হ’তাম। আমরা সকালের আহার এবং বিশ্রাম গ্রহণ করতাম না জুম‘আর পর ব্যতীত (বুখারী হা/৫৪০৩)। তাছাড়া লোকদের খাওয়ানোর ব্যাপারে বহু ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। ছাহাবীগণের সুযোগ হ’লেই তারা পরস্পরকে দাওয়াত করে খাওয়াতেন। এমনকি ছাহাবীগণ রাসূল (ছাঃ)-এর বাড়িতে প্রায় খাবার পাঠিয়ে দিতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, যে অন্যকে খাদ্য খাওয়ায় (ছহীহাহ হা/৪৪)। অতএব সাধারণভাবে যেকোন দিন মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানো জায়েয; কিন্তু এজন্য বিশেষ কোন উপলক্ষ নির্ধারণ করা বা দিনক্ষণকে গুরুত্বারোপ করা যাবে না।
প্রশ্নকারী : রিযওয়ান, তাহেরপুর, রাজশাহী।