উত্তর : আগে খুৎবা হবে,
পরে ঈজাব কবুল। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
আমাদেরকে ছালাতের তাশাহহুদ যেভাবে শিখাতেন, হাজতের তাশাহহুদ সেভাবে
শিখাতেন। তারপর তিনটি আয়াত পড়তেন। অতঃপর প্রয়োজনীয় বিষয়ে কথা বলতেন (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩১৪৯)।
অত্র হাদীছের প্রয়োজনীয় বিষয় হ’ল ঈজাব কবুল। মেয়ের কাছে গিয়ে বিবাহ পড়ানোর
পদ্ধতি সঠিক নয়। পিতা বা অভিভাবক আগেই সাবালিকা মেয়ের সম্মতি নিবেন (বুখারী হা/৫১৩৬)। নইলে বিবাহ সিদ্ধ হবে না (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩১২৭-২৮)।
বিবাহের সুন্নাতী তরীকা হল, প্রথমে বিবাহের খুৎবা হবে। অতঃপর দু’জন সাক্ষীর সামনে মেয়ের পিতা বা অভিভাবক বলবেন, আমি আমার মেয়েকে তোমার সাথে বিবাহ দিলাম। আর ছেলে বলবে, আমি কবুল করলাম। এভাবে বিবাহ সম্পন্ন হবে। বিবাহের খুৎবা মেয়ের অভিভাবক নিজেও পড়তে পারেন। আগেই আলোচনার মাধ্যমে মোহরানা ঠিক করবে এবং তা নগদ পরিশোধ করবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের ফরয মোহরানা পরিশোধ কর’ (নিসা ৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বিবাহের সবচেয়ে বড় শর্ত হ’ল মোহর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৪৩)। বাধ্যগত অবস্থায় মোহর কিছু বাকী রেখে বিবাহ করা জায়েয (বু:মু: মিশকাত হা/৩২০২)। তবে কিছু মোহর পরিশোধ করে বাকীটা মৃত্যু পর্যন্ত দেরী করার রেওয়াজ অবশ্যই পরিত্যাজ্য।