উত্তর : এর ব্যাখ্যায় ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, তাদের মৃত্যু হবে ইসলামপূর্ব জাহেলী যুগের মানুষদের ন্যায় ভ্রষ্টতার উপরে ও অনুসরণীয় আমীরবিহীন বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এর অর্থ এই নয় যে, তারা কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। বরং তারা আল্লাহর অবাধ্য অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। এখানে জাহেলী অবস্থার সাথে তুলনা করাটা ধমকি দেওয়া অর্থেও হ’তে পারে (ইবনু হাজার, ফাৎহুলবারী ৭০৫৩ নং হাদীছের ব্যাখ্যা)।
অমুসলিম বা কোন ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম শাসক ঈমানদারগণের জন্য ঊলুল আমর হ’তে পারেন না। কারণ আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী পরিচালনা করার সাথে আমীরের আনুগত্য শর্তযুক্ত। বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যদি তোমাদের উপর নাক-কান কাটা কৃষ্ণকায় গোলামও আমীর নিযুক্ত হন, যিনি তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী পরিচালিত করেন, তোমরা তাঁর কথা শোন ও মান্য কর’ (মুসলিম হা/১২৯৮; মিশকাত হা/৩৬৬২)।
এমতাবস্থায় মুমিনদের জন্য আল্লাহভীরু যোগ্য আমীরের অধীনে জামা‘আতবদ্ধ জীবনযাপন করা অবশ্য প্রয়োজনীয়। আধুনিক যুগে রাষ্ট্রভেদ সত্ত্বেও এরূপ আমীরের অধীনে ইসলামী জীবনযাপন করা অসম্ভব নয়। যিনি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জামা‘আত পরিচালনা করবেন। যদিও রাষ্ট্রীয় শাসকের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে বাধ্যগত কারণে ও সামাজিক শৃংখলার স্বার্থে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ; মিশকাত হা/৩৬৭২)। ‘কেননা তাদের পাপ তাদের উপর এবং তোমাদের পাপ তোমাদের উপর বর্তাবে’ (মুসলিম; মিশকাত হা/৩৬৭৩)। তবে আল্লাহর নাফরমানীতে কারু আনুগত্য নেই (তিরমিযী; মিশকাত হা/৩৬৯৬)।