উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আত মূলতঃ মুসলিম উম্মাহর কাবীরা গোনাহগারদের জন্য (আবুদাঊদ হা/৪৭৩৯; তিরমিযী হা/২৪৩৫; ইবনু মাজাহ হা/৪৩১০)। তবে এটিই একমাত্র শাফা‘আত নয়। বরং শাফা‘আতকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। (১) শাফা‘আতে উযমা বা প্রধান শাফা‘আত, যা রাসূল (ছাঃ) কিয়ামতের দিন সকল মানুষের বিচারের জন্য আল্লাহর নিকটে করবেন (ইসরা ১৬/৭৯; বুখারী হা/৪৭১৮)। (২) সাধারণ শাফা‘আত, যা নবী-রাসূল, শহীদ, ফেরেশতা, সৎকর্মশীল ব্যক্তি, আলেম, কুরআন, ছিয়াম ইত্যাদি আল্লাহর নিকটে করবে (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : নাছের আল-জুদাই‘, আশ-শাফাআতু ইনদা আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ)।
রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আত আরও কয়েকটি কারণে হবে। যেমন- (১) জান্নাতীদের জান্নাতে প্রবেশ ও তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য (মুসলিম হা/১৯৭, ৩৩৩, ৯২০; মিশকাত হা/১৬১৯)। (২) জাহান্নামীদের ক্ষমা করার জন্য (মুসলিম হা/৯৪৮; মিশকাত হা/১৬৬০)। (৩) জাহান্নামীদের শাস্তি লঘু করার জন্য (বুখারী হা/৩৮৮৫; মুসলিম হা/২১০)। (৪) তাঁর চাচা আবু তালেবের শাস্তি কমানোর জন্য (বুখারী হা/১৪০৮; মুসলিম হা/২০৯)। (৫) উম্মতের একদল মানুষকে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করানোর জন্য (বুখারী হা/৪৩৪৩, মুসলিম হা/২৮৭)।
যেহেতু রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আতের পরই জান্নাতীদের জন্য জান্নাতের দরজা খোলা হবে (মুসলিম হা/১৯৬, ১৯৭), সেকারণ বলা হয়ে থাকে যে, রাসূল (ছাঃ)-এর সুফারিশ ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না।