উত্তর : ফরয ছিয়াম সাধ্যপক্ষে পালন করার চেষ্টা করতে হবে। কষ্টকর হ’লে ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করবে। আল্লাহ বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পীড়িত হবে অথবা সফরে থাকবে, সে যেন এটি অন্য সময় পালন করে (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। একবার সফরে থাকা অবস্থায় রাসূল (ছাঃ) এক স্থানে লোকের ভীড় দেখলেন এবং দেখলেন যে এক ব্যক্তির উপর ছায়া দেয়া হয়েছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি? লোকেরা বলল, এ ছিয়ামপালনকারী। রাসূল (ছাঃ) বললেন, সফরে ছিয়াম রাখা নেকীর কাজ নয় (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/২০২১)

আর ছালাত ক্বছর করাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) আযারবাইজান সফরে গেলে পুরো বরফের মৌসুম সেখানে আটকে যান ও ছয় মাস যাবৎ ক্বছর করেন (বায়হাক্বী ৩/১৫২ পৃঃ; ইরওয়া হা/৫৭৭, সনদ ছহীহ)। অনুরূপভাবে হযরত আনাস (রাঃ) শাম বা সিরিয়া সফরে গিয়ে দু’বছর সেখানে থাকেন ও ক্বছর করেন (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২১৩-১৪ পৃঃ; মিরক্বাত ৩/২১১ পৃঃ)। সুতরাং স্থায়ী মুসাফির যেমন জাহায, বিমান, ট্রেন, বাস ইত্যাদির চালক ও কর্মচারীগণ সফর অবস্থায় সর্বদা ছালাতে ক্বছর করতে পারেন (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৮৭ পৃঃ)। তবে মনে রাখতে হবে যে, ক্বছর করা  ওয়াজিব নয়। তিনি পুরা ছালাতও পড়তে পারেন।







প্রশ্ন (২৪/৪৬৪) : প্রথম আলো ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ইং সংখ্যায় দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-এর অধ্যাপক আবুল মনিম খান এক নিবন্ধে বলেন, যে ব্যক্তির কাছে ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ব্যতীত সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা সমমূল্যের অন্য কোন সম্পদ থাকে তার উপর ছাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। এই পরিমাণ সম্পদকে শরীয়তের পরিভাষায় নিছাব বলা হয়। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর ছাদাকাতুল ফিৎর আদায় করা ওয়াজিব। উক্ত দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩১/১৫১) : জনৈক আলেম বলেন, ছালাতে ‘হুযূরে ক্বলব’ না থাকলে ছালাত কবুল হবে না। আর এর অর্থ হ’ল, ‘ছালাতের মাঝে পীরের ধ্যান করা’। উক্ত দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (১৭/৩৩৭) : আমার আপন ভাইয়ের মেয়েকে জনৈকা মহিলা দুধ পান করিয়েছে। এক্ষণে আমি কি ঐ মহিলার মেয়েকে বিয়ে করতে পারব?
প্রশ্ন (২৯/২৯) : টয়লেটে থাকা অবস্থায় আযানের জওয়াব বা দো‘আ পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৬/২২৬) : কৃপণ পিতার সম্পদ থেকে তাকে না জানিয়ে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খরচ যেমন পড়াশুনা, পোষাক ইত্যাদি চাহিদা পূরণের জন্য কিছু নেওয়া যাবে কি? - -মতীউর রহমান কুওয়াতুল ইসলাম মাদ্রাসা, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : ‘আমার প্রতি দরূদ পাঠের সংখ্যা যার যত বেশী হবে জান্নাতে তার তত বেশী স্ত্রী হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই। - -মুহাম্মদ রফীকুল ইসলামমাকলাহাট, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : ঈদের ছালাতের পর খুৎবার পূর্বে কুরবানী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : পৃথিবী ঘোরে না সূর্য ঘোরে? এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত কী?
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : দরিদ্রতার কারণে স্ত্রীর কাছে মোহরানার টাকা মাফ চাইলে এবং স্ত্রী সন্তুষ্টচিত্তে তা মাফ করে দিলে দায়মুক্ত হওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১/১) : জনৈকা মহিলা তালাকপ্রাপ্তা হওয়ার ৪/৫ মাস পর অন্যত্র বিবাহ হয়। বিবাহের এক মাস পর সন্তান হয়। এ সন্তান কোন পক্ষের হবে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আহলেহাদীছগণ ফিরক্বা নাজিয়াহ হওয়া সত্ত্বেও এদের মাঝে এত দলাদলির কারণ কি?
প্রশ্ন (৬/৪০৬) : স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের কারণে তাকে এক সাথে তিন তালাক দেই। দফায় দফায় সালিশ হওয়ায় একপর্যায়ে ৩ মাসের মধ্যে আমি তাকে নতুন করে বিবাহ ও কাবিন করে ফিরিয়ে আনি। এমতাবস্থায় আমি ৩ বছর যাবৎ সংসার করে আসছি। কিন্তু মানুষের মুখে বিভিন্ন কথা শুনে আমি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছি। এক্ষণে আমার সংসার জীবন শরী‘আত সম্মত হচ্ছে কি?
আরও
আরও
.