উত্তর :
জুম‘আর দিন মাথায় পাগড়ী বাঁধা কোন যরূরী সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
বিভিন্ন সময়ে মাথায় পাগড়ী বাঁধতেন। আমর ইবনু হুরায়েছ (রাঃ) বলেন, নবী করীম
(ছাঃ) জুম‘আর খুৎবা দিলেন, তখন তাঁর উপর কাল পাগড়ী ছিল। যার দু’মাথা কাঁধের
মাঝে ঝুলছিল (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১)। জাবের (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিনা ইহরামে যখন কা‘বা গৃহে ঢুকলেন, তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ী ছিল (ইবনু মাজাহ হা/২৮২২)। অতএব এটি কেবল জুম‘আর জন্য খাছ নয়।
পৃথিবীর প্রায় সকল জাতির মধ্যেই ভদ্র পোষাক হিসাবে মস্তকাবরণ ব্যবহার করার প্রচলন ছিল বা এখনো আছে। আরবদের মধ্যেও এ প্রচলন ছিল। মাথার সাথে লেগে থাকা টুপী বা পাগড়ী, শুধু টুপী বা শুধু পাগড়ী বা পাগড়ী ছাড়াই কোন কাপড়ের আবরণ পরিধান করা তাদের অভ্যাসের মধ্যে ছিল, যা এখনো আছে। টুপীকে কালানসুওয়াহ, বুরনুস, কুম্মাহ, পাগড়ীকে ‘এমামাহ’ (عِمَامةِ), কাপড়ের মস্তকাবরণকে ‘এছাবাহ (عِصَابة) বলা হত। এগুলি যেকোন রংয়ের হ’ত। ইসলাম আসার পর এগুলি নিষিদ্ধ হয়নি। এগুলি ছালাতের জন্য খাছ ছিল না। বরং ছালাতের বাইরেও যেকোন ভদ্র পরিবেশে ব্যবহার করা হ’ত। তেমনি মাথা খুলেও রাখা হ’ত।