উত্তর : এগুলো
সবই ভ্রষ্টতার যুগে সৃষ্ট। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় এসবের
কোন অস্তিত্ব ছিল না। আর এটাই বাস্তব কথা, যেমন ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন,
রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় যা দ্বীন হিসাবে গণ্য ছিল না, আজকের
দিনেও তা দ্বীন হিসাবে গণ্য হবে না (আল-ইনছাফ ৩২ পৃ.)। অতএব
দলীলবিহীনভাবে ‘এই দো‘আ এতবার পাঠ করলে এই ফযীলত হবে’ মনে করে কোন আমলের
সুযোগ নেই। বরং বিপদের সময় এক বা একাধিকবার দো‘আ ইউনুস পাঠ করতে হয়। রাসূল
(ছাঃ) বলেন, যে কোন মুসলিম ব্যক্তি যে কোন সমস্যায় এই দো‘আটি পাঠ করলে
আল্লাহ তা কবুল করেন’ (তিরমিযী হা/৩৫০৫; মিশকাত হা/২২৯২)। অনুরূপ
কেউ শারীরিক বা মানসিক সুস্থতার জন্য কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে। কারণ
আল্লাহ বলেন, তুমি বলে দাও যে, এটি বিশ্বাসীদের জন্য পথনির্দেশ ও আরোগ্য (হা-মীম সাজদাহ ৪১/৪৪)।
ধারণা করা যায়, খতমে খাজেগান, খতমে আম্বিয়া ইত্যাদি অযীফাসমূহ উপমহাদেশের কোন পীর-বুযুর্গের মাধ্যমে চালু হয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে এর প্রচলন শুরু হয়েছে তা জানা যায় না।