উত্তর : অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া বা তার সেবা করা যেমন মুসলমানের উপর ওয়াজিব, তেমনি এর বিশেষ ফযীলত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি। সে বলবে, হে প্রভু! কিভাবে আমি আপনাকে দেখতে যাব, আপনি তো সারা জাহানের পালনকর্তা? তিনি বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, তাহ’লে অবশ্যই তুমি আমাকে তার কাছে পেতে?’ (মুসলিম হা/২৫৬৯; মিশকাত হা/১৫২৮)। রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি রোগীকে দেখার জন্য যায়, আসমান থেকে একজন ফেরেশতা তাকে লক্ষ্য করে বলে, ধন্য তুমি, ধন্য হোক তোমার এ পথ চলা। জান্নাতে তুমি একটি গৃহ তৈরী করে নিলে’ (তিরমিযী হা/২০০৮; মিশকাত হা/৫০১৫; ছহীহুত তারগীব হা/২৫৭৮)। তিনি আরো বলেন, ‘যে মুসলিম সকাল বেলায় কোন অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে যায়, তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তুর হাযার ফেরেশতা দো‘আ করতে থাকে। যদি সে তাকে সন্ধ্যায় দেখতে যায়, তার জন্য সত্তর হাযার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত দু‘আ করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরী হয়’ (তিরমিযী হা/৯৬৯)। তিনি বলেন, ‘কোন মুসলিম যখন তার অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের রোগের খবর জানার জন্য যায়, সে না ফেরা পর্যন্ত জান্নাতের খুরফার মধ্যে অবস্থান করে। জিজ্ঞাসা করা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূল! খুরফাহ কী? তিনি বললেন, জান্নাতের ফল-পাড়া’ (মুসলিম হা/২৫৬৮; মিশকাত হা/১৫২৭)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়, সে রহমতের মধ্যে বিচরণ করতে থাকে। অতঃপর সে যখন (রোগীর নিকটে) বসে যায়, তখন রহমতে স্থিতিশীল হয়ে যায় (আহমাদ হা/১৪২৯৯; ছহীহাহ হা/২৫০৪)প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ মুজীব, চট্টগ্রাম।

প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ মুজীব, চট্টগ্রাম।







বিষয়সমূহ: দো‘আ
প্রশ্ন (২১/২১) : শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীদের জন্য দাঁড়িয়ে সালাম দেওয়া শরী‘আত সম্মত হবে কি? - -আব্দুল্লাহ ছাকিব, গাযীপুর।
প্রশ্ন (১৫/২৯৫) : শী‘আদের রাফেযী বলার কারণ কি? সকল শী‘আই কি রাফেযী? - -শারমিন সুলতানা, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (১৭/৫৭) : মসজিদের জমি কবরস্থানের জমির সাথে বদল করা যাবে কি? যেমন রাস্তার পার্শ্বে কবরস্থান আর মাঠে মসজিদের জমি আছে। এক্ষণে কবরস্থানের কিছু জমির সাথে মসজিদের জমি বদল করে কবরস্থানের জমিতে মসজিদ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/২৮৩) : নযর লাগা কি সত্য? এর প্রতিকার কিভাবে সম্ভব? জনৈক লেখক ‘ইসলামী আক্বীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ’ নামক বইয়ে লিখেছেন, নযর লাগার আশঙ্কা হলে মুখ-হাত ধুয়ে ফেলবে অর্থাৎ গোসল করবে। রেফারেন্স হিসাবে তিনি ছহীহ বুখারী ও মুসলিম উল্লেখ করেছেন। বিষয়টা কি ঠিক?
প্রশ্ন (৩৩/৩৭৩) : ফরয ছালাতের পর পঠিতব্য দো‘আসমূহ সুন্নাত ছালাতের পর বা যেকোন সময় পাঠ করা যাবে কি? - -মশীউর রহমান, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন (২৫/৪২৫) : আমার পিতা দুই বিয়ে করেছেন। আমার মা পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং আমার মায়ের বিয়ের পূর্বেই প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।সেই ঘরে একটি ছেলে রয়েছে। এখন সম্পত্তি বণ্টনের বেলায় সেই ছেলেটি কতটুকু সম্পদের হকদার হবে?
প্রশ্ন (২১/২২১) : মুছল্লীরা কি ছালাতের জন্য ইক্বামতের আগেই কাতার দিতে পারে? - -আব্দুল জাববার, কাহারোল, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত করা বৈধ?
প্রশ্ন (৩/২০৩) : জনৈক খত্বীব বলেছেন, ফরয ছালাতের জন্য ‘আল্লাহুম্মা বা‘ইদ বায়নী’ এবং নফল ছালাতের জন্য ‘সুবহা-নাকা আল্লাহুম্মা...’ ছানা পড়তে হবে। তিনি আরো বলেন, ফরয ছালাতের ছানা নফল ছালাতে এবং নফলের ছানা ফরয ছালাতে পড়া যাবে না। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : হাদীছে মোটা-তাজা সুন্দর পশু কুরবানী করতে বলা হয়েছে। এক্ষণে ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে পশু মোটাতাজা করণে শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : ঋতু অবস্থায় ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকতে হয়। কুরআন তেলাওয়াত থেকেও কি বিরত থাকতে হবে?
প্রশ্ন (১৮/৩৭৮) : মসজিদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না এরূপ ধারণায় বহুদিন যাবৎ বিল পরিশোধ না করায় এখন অনেক সূদ জমা হয়ে গেছে। বর্তমানে সূদী অংশ বাদ দিয়ে কেবল মূল বিল পরিশোধ করা হয়। ফলে সূদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক্ষণে বকেয়া সমুদয় সূদ মসজিদ ফান্ড থেকে দেওয়া যাবে কি? - -শহীদুল ইসলাম, সৈয়দপুর, নীলফামারী।
আরও
আরও
.