উত্তর : সূরা তওবা ১১ আয়াতের অর্থ হ’ল- এক্ষণে যদি ওরা তওবা করে এবং ছালাত কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে, তাহ’লে ওরা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমরা জ্ঞানী লোকদের জন্য আয়াত সমূহ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে থাকি’ (তওবা ৯/১১)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, তওবা করা অর্থ মূর্তিপূজা থেকে ফিরে আসা (ইবনু কাছীর, তাফসীর উক্ত আয়াত)। শাওকানী (রহঃ) বলেন, শিরক মুক্ত হওয়া এবং ইসলামের বিধানসমূহ পালন করাকে আবশ্যিক করে নেওয়া (ফাৎহুল ক্বাদীর, তাফসীর উক্ত আয়াত)। অর্থাৎ তারা যদি শিরক ও অন্যান্য ঘৃণ্য কাজ থেকে তওবা করে, ছালাত আদায় করে এবং যাকাত প্রদান করে, তাহ’লে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। ভালো কর্মের কারণে তোমাদের জন্য যে পুরস্কার রয়েছে তাদের জন্যও তাই রয়েছে। আর মন্দ কর্মের কারণে তোমাদের জন্য যে শাস্তি রয়েছে তাদের জন্যও তাই রয়েছে। 


অতঃপর সূরা তওবা ৮৪ আয়াতের অর্থ হ’ল- ‘আর এদের কেউ মারা গেলে তুমি কখনোই তার জানাযা পড়বে না এবং তার কবরের পাশে দাঁড়াবে না। ওরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছে এবং তারা অবাধ্য অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে’ (তওবা ৯/৮৪)। এ আয়াতের ব্যাখ্যার জন্য নিম্নের হাদীছটিই যথেষ্ট। তা হ’ল- ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন (মুনাফিক নেতা) আব্দুল্লাহ বিন উবাই মারা গেল, তখন তার ছেলে আব্দুল্লাহ, যিনি উত্তম ছাহাবী ছিলেন, তার দাবী অনুযায়ী তার কাফন পরানোর জন্য রাসূল (ছাঃ) নিজের ব্যবহৃত জামা তাকে প্রদান করেন ও জানাযা পড়তে সম্মত হন। অতঃপর তিনি জানাযায় গমনের জন্য উঠে দাঁড়ালে ওমর (রাঃ) তাঁর কাপড় টেনে ধরে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তার জানাযার ছালাত আদায় করবেন, অথচ আল্লাহ কি আপনাকে মুনাফিকদের জানাযা পড়তে নিষেধ করেননি? তখন মুচকি হেসে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘সরে যাও হে ওমর! আমাকে এ ব্যাপারে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। যদি আমি জানতাম ৭০ বারের অধিক মাগফেরাত কামনা (তওবা ৯/৮০) করলে তাকে ক্ষমা করা হবে, তাহ’লে আমি তার চেয়ে অধিকবার ক্ষমা চাইতাম। ওমর বললেন, সে তো মুনাফিক! অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তার জানাযার ছালাত আদায় করলেন এবং ফিরে এলেন। এর কিছু পরেই মুনাফিকদের জানাযায় অংশগ্রহণের উপরে চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা জারী করে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়, ‘তাদের মধ্যে কারু মৃত্যু হ’লে কখনোই তার জানাযা পড়বে না এবং তার কবরে দাঁড়াবে না। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি কুফরী করেছে (অর্থাৎ তাঁর বিধানকে প্রত্যাখ্যান করেছে)। আর তারা মৃত্যুবরণ করেছে পাপাচারী অবস্থায়’ (তওবা ৯/৮৪)। আরও নাযিল হয়, ‘তুমি তাদের জন্য ক্ষমা চাও বা না চাও, দু’টিই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ কখনোই তাদের ক্ষমা করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না’ (মুনাফিকূন ৬৩/৬)। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আর কোন মুনাফিকের জানাযা পড়েননি (বুখারী হা/৪৬৭০-৭১, ৫৭৯৬)।






প্রশ্ন (১২/১২) : মৃত ব্যক্তির সম্পদ কখন বণ্টন করতে হবে? এ ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (৩১/৭১) : সুৎরা কি কেবল খোলা মাঠের জন্য নাকি মসজিদের ভিতরেও দিতে হবে?
প্রশ্ন (২৩/৩০৩) : পিতা-মাতা কর্তৃক ছেলে বা মেয়েকে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়া শরী‘আতসম্মত হবে কি? এরূপ বিবাহের পর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালে উক্ত ছেলে বা মেয়ে গুনাহগার হবে কি?
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লেখা চাদর দিয়ে লাশ ঢেকে দেয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/২৩) : বিতর ছালাত আদায়কারীর সাথে কোন মুছল্লী ফরয ছালাতের নিয়তে জামা‘আতে দাঁড়ালে তার ছালাত হবে কি? - -যাকির মোললাদক্ষিণ বরগুনা, বরগুনা।
প্রশ্ন (৫/২৮৫) : জনৈক ব্যক্তি নিয়মিত যাকাত প্রদান করতেন। কিন্তু বিভিন্ন অসুবিধার কারণে তিনি অনিয়মিত হয়ে পড়েন। কয়েক বছর পর এখন তিনি নিয়মিত যাকাত দিতে চান। কিন্তু আগের প্রদেয় যাকাত অনেক বেশী পরিমাণে হয়ে যাওয়ায় তা আদায় করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এক্ষণে পুরোটা কি আদায় করা আবশ্যক হবে না তওবা করলেই হবে?
প্রশ্ন (১২/২১২) : নওমুসলিম সন্তান অমুসলিম পিতার সম্পদের অংশীদার হ’তে পারবে না। এক্ষণে পিতার মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবে প্রাপ্ত সকল সম্পদ দান করে দিতে হবে কি? - -তাওসীফুর রহমান, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩/২৮৩) : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হ’লে ফরয ছিয়াম পালনের বিধান কি? এমতাবস্থায় মারা গেলে ক্বাযা ছিয়ামের কি হবে? - -আজমাল, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪/২০৪) : বিবাহের সময় পরিস্থিতির কারণে দুই লাখ টাকা মোহরানায় রাযী হই। কিন্তু তা পরিশোধ করা আমার জন্য অতি কষ্টকর। স্ত্রী সর্বদা বলে, পঞ্চাশ হাযার টাকা পেলেই আমি খুশী। এক্ষণে আমার করণীয় কি? পুরো পাওনা না দিয়ে মারা গেলে কি আমি গোনাহগার হব? - তা‘লীমুল হক, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (২১/১৪১) : মহিলাদের ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে পায়ের পাতা ঢেকে দাঁড়াতে হবে কি? রুকূ ও সিজদার সময় পা বের হয়ে গেলে ছালাত নষ্ট হয়ে যাবে কি? - -শাহনায বেগম, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (২১/২২১) : মুছল্লীরা কি ছালাতের জন্য ইক্বামতের আগেই কাতার দিতে পারে? - -আব্দুল জাববার, কাহারোল, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (১৫/১৫) : তাল গাছের রস বা লালি খাওয়া যাবে কি? - -আবুল কাসেমবাগমারা, রাজশাহী।
আরও
আরও
.