উত্তর : কালেমা পাঠকারী প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান থাকা পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করা ফরয। এছাড়া বাকি সকল ছালাতই নফল (বুখারী হা/২৬৭৮; মুসলিম হা/১১; মিশকাত হা/১৬৯)। যেকোন ফরয ছালাত পরিত্যাগকারী ব্যক্তি গোনাহগার হবে। কেননা অবহেলাবশতঃ ফরয ছালাত পরিত্যাগ করা ‘কুফরী’ পর্যায়ভুক্ত মহাপাপ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৯, ৫৭৪, ৫৮০)।
এছাড়া নফল ছালাত পরিত্যাগকারী ব্যক্তি গোনাহগার হবে না। তবে এর গুরুত্ব
অপরিসীম। এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর ভালবাসা ও নৈকট্য লাভ করে (বুখারী হা/৬৫০২)। বান্দার ফরয ইবাদতের ঘাটতিসমূহ এর দ্বারা পূরণ হয় (আবুদাঊদ হা/৮৬৪, মিশকাত হা/১৩৩০)। তবে কিছু নফল ছালাত রয়েছে, যা রাসূল (ছাঃ) কখনোই ছাড়তেন না। যেমন ফজরের সুন্নাত ও বিতর ছালাত (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৬৩, ১২৬২)। এতদ্ব্যতীত যোহরের আগে-পরের ৬ বা ৪, মাগরিবের পরে ২ ও এশার পরের ২ রাক‘আত ছালাত তিনি পারতপক্ষে ছাড়তেন না (তিরমিযী হা/৪১৫; ঐ, মিশকাত হা/ ১১৫৯)।
তাছাড়া ইদায়নের ছালাত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ, যা সবাইকে আদায় করা আবশ্যক। এটি ইসলামের নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আর জানাযার ছালাত ফরযে কিফায়া, যা মহল্লার কেউ আদায় না করলে সকলেই গুনাহগার হয় এবং কিছু লোক আদায় করলে সকলের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃ. ২১৩)।