উত্তর : যে
মুমিন আসমাউল হুসনার ৯৯টি নাম অর্থ অনুধাবন সহ পূর্ণ ঈমান ও আনুগত্যের
সাথে এবং আল্লাহর উপর অটুট নির্ভরতার সাথে মুখস্ত করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ
করবে (বুখারী হা/৭৩৯২; মুসলিম হা/২৬৭৭; ফাৎহুল বারী ১১/২২৬-২২৭)।
কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, পিলার নির্মাণ করে এগুলির প্রদর্শনী করা হবে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে ইট, পাথর ও মাটি ইত্যাদিকে কাপড়
পরিধান করাতে নির্দেশ দেননি’ (মুসলিম হা/২১০৭; মিশকাত হা/৪৪৯৪; আবুদাঊদ হা/৪১৫৩)। অতএব এগুলি প্রদর্শনীর বিষয় নয়। বরং ঈমান ও আমলের বিষয়।
আজকাল বিভিন্ন মুসলিম দেশে শিল্পকর্ম হিসাবে কিংবা রাস্তার শোভাবর্ধনে এধরণের ক্যালিগ্রাফীর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। তবে বিগত যুগের নির্ভরযোগ্য ওলামায়ে কেরাম পিলারে বা দেওয়ালে এগুলো লেখাকে সমর্থন করতেন না। হানাফী বিদ্বান ইবনুল হুমাম বলেন, ‘আল্লাহর কিতাব এবং তার নামসমূহ দিরহাম, মেহরাব ও দেওয়ালে লেখা মাকরূহ (ফাৎহুল কাদীর ১/১৬৯)। অপর হানাফী বিদ্বান ইমাম যায়লাঈ অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এতে কিছু লেখা মিটে যায়, ফলে কুরআনের আয়াত ও আল্লাহর নামের বিকৃতি হ’তে পারে যা কুরআনকে অসম্মানের শামিল (তাবীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৫৮)। শায়খ উছায়মীন এ ধরনের কর্মকে বিদ‘আত বলে সতর্ক করেছেন (লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৩/১৯৭)। এ ব্যাপারে সঊদী স্থায়ী ফৎওয়া বোর্ডকে জিজ্ঞাসা করা হ’লে তারাও এধরনের কাজকে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আদর্শ বিরোধী বলে মতপ্রকাশ করেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৪/৫৬-৫৮)। সুতরাং এগুলি থেকে বিরত থাকাই সমীচীন।