উত্তর :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উক্ত নিষেধাজ্ঞাটি নিলামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়,
বরং সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের সময়
একজনের উপরে অন্য জনের দর-দাম করা নিষিদ্ধ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)।
কিন্তু নিলাম-এর উদ্দেশ্যই হ’ল দর বৃদ্ধি করা এবং সেখানে একজনের উপরে
অন্যজনের দর-দাম করার মাধ্যমেই নিলামের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে থাকে। আর নিলামে
বেচাকেনা ইসলামে জায়েয রয়েছে। তবে শর্ত হ’ল, প্রত্যেকে ক্রয় করার
উদ্দেশ্যে দাম বলবে। দাম বাড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য থাকলে তা হারাম হবে।
তাবেঈ বিদ্বান আত্বা (রহঃ) বলেন, আমি ছাহাবায়ে কেরামকে দেখেছি যে, তারা গণীমতের মাল অধিক মূল্য প্রদানকারীর নিকটে বিক্রি করাকে দোষণীয় মনে করতেন না (বুখারী ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, ‘নিলামে বিক্রয়’ অনুচ্ছেদ-৫৯)। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি তার মৃত্যুর পরে তার গোলাম আযাদ হবে বলে ঘোষণা দিল। তারপর সে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ল। তখন নবী করীম (ছাঃ) সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, একে কে আমার নিকট হ’তে ক্রয় করবে? নু‘আঈম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) তাঁর কাছ হ’তে সেটি এত এত মূল্যে ক্রয় করলেন এবং তিনি গোলামটিকে তার নিকটে হস্তান্তর করে দিলেন (বুখারী হা/২১৪১, আলোচনা দ্রঃ ফাৎহুলবারী)।