উত্তর : রিজাল শাস্ত্র হ’ল হাদীছের সনদ সম্পর্কে জ্ঞান। অর্থাৎ সনদে যে সকল বর্ণনাকারী রয়েছেন তারা নির্ভরযোগ্য কি-না, সে সম্পর্কিত বিশেষায়িত জ্ঞান। ইসলামী শরী‘আতের বিধি-বিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ আলেমদের জন্য রিজালশাস্ত্র জানা আবশ্যক। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার তারতম্য থাকতে পারে, তবে এ বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। ওলামায়ে সালাফ কেবল হাদীছের জ্ঞান থাকলেই তাকে আলেম হিসাবে গণ্য করতেন না, যতক্ষণ না তিনি হাদীছের সনদসমূহ এবং বর্ণনাকারীদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতেন (তাদরীবুর রাবী ১/৩০)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যদি কোন ফাসিক্ব ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখ’ (হুজুরাত ৪৯/৬)। সুতরাং ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ যদি কোন হাদীছের সনদ সম্পর্কে না জেনে বর্ণনা করে, তবে সে মিথ্যুকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ওপর মিথ্যারোপ করল, সে যেন তার স্থানকে জাহান্নামে বানিয়ে নিল’ (ছহীহ মুসলিম মিশকাত হা/১৯৮ ‘ইলম’ অধ্যায়)। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক বলেন, সনদ হচ্ছে দ্বীন। যদি সনদ না থাকত তাহ’লে যার যা ইচ্ছা তাই বর্ণনা করত (ছহীহ মুসলিম, মুক্বাদ্দামা হা/৩২)।