উত্তর : সালোয়ার-কামীছ বড় হ’লে এবং ঢিলাঢালা হলে তার উপর হিজাব দ্বারা পর্দা হ’তে পারে। নারীদের পর্দার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা আবশ্যক। যথা- (১) তাক্বওয়াপূর্ণ পোষাক পরিধান করা (আ‘রাফ ৭/২৬)। (২) এমন পোষাক পরা, যা পুরো দেহ আবৃত করে (নূর ২৪/৩১, আহযাব ৩৩/৫৯, আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। (৩) পাতলা কাপড় না পরা, যাতে গোপন সৌন্দর্য্য প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে (মুওয়াত্ত্বা হা/৩৩৮৩; মিশকাত হা/৪৩৭৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দুই শ্রেণীর মানুষকে জাহান্নামী বলেছেন, তাদের একজন হ’ল পোষাক পরিধানকারী উলঙ্গ নারী, যারা পুরুষদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হবে (মুসলিম হা/২১২৮; মিশকত হা/৩৫২৪)। (৪) ঢিলা-ঢালা ও বড় পোষাক পরিধান করা, যাতে শরীরের অবয়ব প্রকাশ না পায় (আহমাদ হা/২১৮৩৪; ত্বাবারাণী কাবীর হা/৩৭৬, সনদ হাসান)। (৫) পুরুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হওয়া (বুখারী হা/৫৪৮৫; মিশকাত হা/৪৪২৯)। (৬) কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হওয়া (আবূদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। (৭) নযরকাড়া পোষাক পরিধান না করা ইত্যাদি (ইবনু মাজাহ হা/৩৬০৬; আবুদাউদ হা/৪০২৯; মিশকাত হা/৪৩৪৬)।
প্রশ্নকারী : আব্দুস সুবহান মন্ডল, কালাই, জয়পুরহাট।