উত্তর : প্রশ্নে
উল্লেখিত আলক্বামা নামটি কপোলকল্পিত। এ মর্মে প্রচলিত ঘটনাটিও জাল। এক্ষণে
কথিত ঘটনাটি হ’ল- জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এসে বলল, এখানে একটি
ক্রীতদাস আছে, যার মৃত্যু আসন্ন। তাকে কালেমা পড়তে বলা হলে সে বলল, আমি
পড়তে সক্ষম হচ্ছি না। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, সেকি জীবিত অবস্থায় কালেমা
পড়েনি? তারা বলল, পড়েছে। তিনি বললেন, তাহ’লে তাকে কিসে কালেমা পড়তে বাধা
দিচ্ছে? একথা বলে তিনি তার বাড়িতে চলে গেলেন। তিনি তাকে বললেন, হে গোলাম!
তুমি কালেমা পড়। সে বলল, আমি পড়তে পারছি না। তিনি বললেন, কেন? সে বলল,
মায়ের প্রতি অবাধ্যতার কারণে। তিনি বললেন, তিনি কি বেঁচে আছেন? সে বলল,
হ্যাঁ। তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি আসলে রাসূল (ছাঃ) তাকে
বললেন, এটি তোমার ছেলে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি মাকে ডেকে এনে বললেন,
মনে কর এখানে আগুন জ্বালানো হ’ল। অতঃপর তোমাকে বলা হ’ল- তুমি যদি তোমার
ছেলেকে ক্ষমা না কর, তাহ’লে তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। তুমি কি করবে? মা
বললেন, তাহ’লে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। রাসূল (ছাঃ) তাকে বললেন, তুমি
আল্লাহকে এবং আমাদেরকে সাক্ষী রেখে বল যে, তুমি তার প্রতি খুশী। সে বলল,
আমি ছেলের প্রতি খুশী। তিনি বললেন, হে যুবক! তুমি এবার কালেমা পাঠ কর। সে
কালেমা পাঠ করল। রাসূল (ছাঃ) বললেন, সকল প্রশংসা আল্লাহ জন্য যিনি তাকে
আগুন থেকে রক্ষা করলেন’ (আহমাদ হা/১৯৪৩০; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৮৯২; আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩১৮৩)।