উত্তর : উক্ত বিবাহ শরী‘আতসম্মত হয়নি। কারণ আপনার মামা আপনার দুধভাই। যেমন হামযা (রাঃ) চাচা হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর দুধভাই। আর দুধ ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বংশীয় সূত্রে যে সকল মহিলাকে বিবাহ করা হারাম, দুগ্ধপান সূত্রেও সেসকল মহিলাকে বিবাহ করা হারাম’ (বুখারী হা/২৬৪৫; মুসলিম হা/১৪৪৫-৪৭; মিশকাত হা/৩১৬১) এক্ষণে এই বিবাহ বিচ্ছেদ করে উভয়ে আলাদা হয়ে যেতে হবে (বুখারী হা/২০৫২)। যদি সন্তান কোলের শিশু হয়, তবে অন্যত্র বিবাহ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মায়ের প্রতিপালনাধীনে থাকবে (আবুদাঊদ হা/২২৭৬; মিশকাত হা/৩৩৭৮; ছহীহাহ হা/৩৬৮)। অতঃপর জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ার পর মাতা বা পিতা যার নিকটে সে থাকতে চায় তার নিকটে থাকবে (আবুদাঊদ হা/২২৭৭; নাসাঈ হা/৩৪৯৬; মিশকাত হা/৩৩৮০; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৯৫৯)। সন্তান যার নিকটেই থাকুক না কেন, পিতা ও মাতা উভয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে। এক্ষেত্রে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। আর যথারীতি সে পিতার সম্পত্তির অংশীদার হবে, কেননা এটি ‘শিবহে নিকাহ’ বা বিবাহের অনুরূপই ছিল (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/১০৩)






প্রশ্ন (১৮/৯৮) : সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠী আলাভী বা নুছায়রিয়াদের আক্বীদা সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩/২০৩) : জনৈক খত্বীব বলেছেন, ফরয ছালাতের জন্য ‘আল্লাহুম্মা বা‘ইদ বায়নী’ এবং নফল ছালাতের জন্য ‘সুবহা-নাকা আল্লাহুম্মা...’ ছানা পড়তে হবে। তিনি আরো বলেন, ফরয ছালাতের ছানা নফল ছালাতে এবং নফলের ছানা ফরয ছালাতে পড়া যাবে না। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২১/৪৬১) : চুল-নখ কর্তন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা কি হজ্জ পালনকারীদের জন্যও প্রযোজ্য? - -সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৪/৩৮৪) : ছাহাবায়ে কেরামের সকল ফৎওয়াই কি অনুসরণযোগ্য? ছাহাবায়ে কেরামের মাঝে বিভিন্ন ফৎওয়ার ক্ষেত্রে বিভক্তি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে যে কারো মত অনুসরণ করলেই কি যথেষ্ট হবে? এছাড়া তাদের জীবনযাপন রীতিও কি অনুসরণযোগ্য?
প্রশ্ন (৩১/২৭১): শৈশবে কোন পাপ কাজ করে থাকলে এবং অন্যের হক নষ্ট করে থাকলে বড় হওয়ার পর তার কিছু করণীয় আছে কি?
প্রশ্ন (১৩/৪১৩) : ই‘তিকাফকারী তারাবীহর ছালাত জামা‘আতের সাথে পড়বে, না একাকী পড়বে?
প্রশ্ন (২১/১৪১) : ‘আল্লাহপাক আদম (আঃ)-কে আপন আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির প্রকৃত ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন। - -সোহরাব, বিরামপুর, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) : আমাদের মসজিদে প্রায় শুক্রবারেই মসজিদ ফান্ডে দানকৃত অর্থ দিয়ে মসজিদে আগত কিছু মেহমান ও মুছল্লীকে খাওয়ানো হয়। এটা জায়েয হবে কি? - -ইসমাঈল হোসাইন, পালিচারা, রংপুর।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : ছিয়াম শেষে ইফতারের সময় আমরা পুরো পরিবার একত্রিত হই এবং জামা‘আতবদ্ধভাবে হাত তুলে মুনাজাত করি। আমার দাদু দো‘আ পড়েন। আর আমরা আমীন বলি। এরূপ করা জায়েয কি?
প্রশ্ন (৫/৫) : আমার আশুরার ছিয়াম পালনের খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু হায়েযের কারণে তা পালন করতে পারিনি। এক্ষণে এর কাযা আদায় করতে পারব কী? - -জেসমীন খাতূন, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৫/৪৪৫) : শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ ছালাত কিংবা ছালাতুত তাওবাহ পড়ার পর হাত তুলে দো‘আ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : কিছু কিছু মসজিদে দেখা যায় কিছু মুছল্লী নিজেদের জন্য স্থান নির্ধারণ করে রাখে এবং সেখানে নিজস্ব জায়নামায পেড়ে রাখে। এরূপ আমল কতটুকু শরী‘আত সম্মত? - -নাজীবুল ইসলাম, শাজাহানপুর, বগুড়া।
আরও
আরও
.