উত্তর : না। বরং এর দ্বারা সালমান ফারেসী ও তাঁর জাতিকে বুঝানো হয়েছে। হাদীছটির অনুবাদ হ’ল, আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে বসেছিলাম। এসময় তার উপর সূরা জুম‘আ অবতীর্ণ হ’ল, যার একটি আয়াত হ’ল- ‘এবং তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনও তাদের সঙ্গে মিলিত হয়নি’ (৬২/৩)। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারা কারা? তিনবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। আমাদের মাঝে সালমান ফারেসী উপস্থিত ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) সালমানের উপর হাত রেখে বললেন, ঈমান ছুরাইয়া নক্ষত্ররাজির নিকট থাকলেও কিছু লোক বা তাদের এক ব্যক্তি তা অবশ্যই পেয়ে যাবে’ (বুখারী হা/৪৮৯৭)। মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, যদি দ্বীন ছুরাইয়া নক্ষত্র রাজির কাছেও থাকত, তবুও পারস্যের একজন ব্যক্তি তা নিয়ে আসত বা পারস্যের সন্তানদের কেউ তা পেয়ে যেত’ (মুসলিম হা/২৫৪৬)। ছহীহ ইবনে হিববানের বর্ণনায় আরো স্পষ্টভাবে এসেছে যে, রাসূল (ছাঃ) এসময় সালমানের উরুতে হাত মেরে বললেন, এই ব্যক্তি ও তার জাতি (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৭১২৩)।
হাদীছটির ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু কাছীর বলেন, অত্র হাদীছ দলীল হ’ল এ বিষয়ে যে, রাসূল (ছাঃ) আরব-আজমের সকল মানুষের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন’। ত্বীবী বলেন, জাতি উল্লেখ করে সালমান ফারেসী (রাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। অথবা এর দ্বারা আরবের বিপরীতে অনারবদের বুঝানো হয়েছে (মিরক্বাত হা/৬২১২-এর ব্যাখ্যা)। যেমন বুখারী, মুসলিম সহ কুতুবে সিত্তাহর মুহাদ্দিছগণ সকলেই অনারব ছিলেন।
তবে রাদ্দুল মুহতারে ইমাম সুয়ূতী (রহঃ)-এর একটি উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে এ মর্মে যে তিনি বলেন, এ হাদীছ দ্বারা ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর ব্যাপারে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে (রাদ্দুল মুহতার ১/৫৩; বঙ্গানুবাদ তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআন ১২৬৩ পৃ., মুহাম্মাদ ৩৮ আয়াতের ব্যাখ্যা)। এর কোন ভিত্তি নেই।