উত্তর : কোন বিবাহিতা নারীকে আগাম বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হারাম। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যে সকল নারীকে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে বিবাহিতা নারী (নিসা ৪/২৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৯/১৯১)। এমনকি বিবাহিতা কোন নারীর সংসার ভেঙ্গে যায়, এমন কোন কাজ করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা দাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয় (আবুদাউদ হা/২১৭৫; মিশকাত হা/৩২৬২; ছহীহুত তারগীব হা/২০১৪)। তাছাড়া স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর চেষ্টা করা কবীরা গুনাহ, যা শয়তানের কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ইবলীস পানির উপর তার আরশ স্থাপন করে তার বাহিনী প্রেরণ করে। তাদের মধ্যে তার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হয় সেই, যে সর্বাধিক ফিৎনা সৃষ্টিকারী। তাদের একজন এসে বলে, আমি অমুক অমুক কাজ করেছি। সে বলে, তুমি কিছুই করনি। অতঃপর অন্যজন এসে বলে, অমুকের সাথে আমি সকল প্রকার ধোঁকার আচরণই করেছি। এমনকি তার থেকে তার স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন না করা পর্যন্ত আমি তাকে ছেড়ে দেইনি। অতঃপর শয়তান তাকে তার নিকটবর্তী করে নেয় এবং বলে হ্যাঁ, তুমি একটি বড় কাজ করেছ। বর্ণনাকারী আ‘মাশ বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলেছেন, অতঃপর শয়তান তাকে তার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে (মুসলিম হা/২৮১৩; মিশকাত হা/৭১)

প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, লালমাটিয়া, ঢাকা।







বিষয়সমূহ: বিবাহ ও তালাক
প্রশ্ন (২৮/৩৪৮) : মহিলারা পর্দার মধ্যে থেকে মটর সাইকেল, সাইকেল, প্রাইভেট কার ইত্যাদি চালাতে পারে কি?
প্রশ্ন (১৮/২১৮) : নারীরা সৌন্দর্য প্রকাশার্থে মাথার চুল উঁচু করে বাঁধে। এটা জায়েয হবে কি? - -আবুবকর ছিদ্দীক, কালাই, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৩১/৩১১) : স্বামী বলেছেন তুমি অমুক কাজ করলে আমি তোমার সাথে থাকবো না। কিন্তু কখনো আমি অসাবধানতাবশে তা করেও ফেলতে পারি। এক্ষণে এমন কিছু করে ফেললে সত্যিই কি আমাদের তালাক হয়ে যাবে?
প্রশ্ন (৮/২৮৮) :তারাবীহর ছালাত ইমামের সাথে শেষ করার যে ফযীলত বর্ণিত হয়েছে বিতর ইমামের সাথে না পড়ে একাকী পড়লে কি উক্ত ছওয়াব হবে? ইমাম স্বয়ং যদি বিতর না পড়ে সবাইকে তা বাসায় পড়ার নির্দেশ দেন, তাহ’লে কি পুরো রাত ছালাত আদায়ের ফযীলত পাওয়া হবে?
প্রশ্ন (২১/৩০১) : পিতার অবর্তমানে আমার অমতে বড় ভাই আমাকে বিবাহ দেন। বিবাহে আমি কবুল বলিনি এবং কাবিননামায় স্বাক্ষর করিনি। এরপর সংসার হয়, সন্তান হয়। একসময় আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু স্বামী তালাক দিতে রাযী নন। আর আমার পরিবার ডিভোর্সের ব্যাপারে রাযী নয়। পরে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী খোলা তালাকের চিঠি দেই। তারপর বড় ভাইয়ের অনুমতি ছাড়া নিজে ব্যক্তিগতভাবে অন্যজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। পরে জানতে পারি অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ জায়েয নয়। বর্তমানে আলাদা আছি। অভিভাবকের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাদের কথা পূর্বের স্বামীর কাছে ফিরে না গেলে তারা কোন সম্পর্ক রাখবে না। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৪/১৬৪) : তারাবীহ পড়িয়ে হাদিয়া দাবী করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২৩/২২৩) : রাবে‘আ বছরী সম্পর্কে জানতে চাই। - -ফাহীমা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (২৯/৩৮৯) : বিসমিল্লাহ না লিখে ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি’ বা ৭৮৬ ইত্যাদি লেখা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : জনৈক বক্তা রাসূল (ছাঃ)-এর চেহারার সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে, তার চেহারায় এত আলো ছিল যে তা দিয়ে সুঁচ খোজা যেত। একথা সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৯/২৯৯) : স্বামী-স্ত্রী জামা‘আতবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (২৬/৩৪৬) : সরকার প্রদত্ত বৈশাখী ভাতা সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী, শিক্ষকদের গ্রহণ করা জায়েয হবে কী?
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : কোন ব্যক্তি গান-বাজনাসহ অন্যান্য অপকর্ম চালু রেখে মারা গেলে তার পাপের ভাগ সে পেতে থাকবে কি?
আরও
আরও
.