উত্তর : কতিপয় বিদ্বান ওযূর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করাকে মুস্তাহাব বলেছেন (আল-মাওসূ‘আতিুল ফিকহিয়া ৪৩/৩৭৮)। কারণ আলী (রাঃ) একদিন যোহরের ছালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে কূফা মসজিদের চত্বরে বসে পড়লেন। অবশেষে আছরের ছালাত আদায়ের সময় হয়ে গেল। তখন পানি আনা হ’ল। তিনি পানি পান করলেন এবং নিজের মুখমন্ডল ও উভয় হাত ধৌত করলেন। এরপর আলী (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় ওযূর উদ্বৃত্ত পানি পান করে নিলেন। এরপর তিনি বললেন, লোকজন দাঁড়িয়ে পান করাকে ঘৃণা করে, অথচ আমি যেমন করেছি, নবী করীম (ছাঃ)ও তেমন করেছেন (বুখারী হা/৫৬১৬; মিশকাত হা/৪২৬৯)। তবে অন্য বর্ণনায় আলী (রাঃ) বলেন, তারা কোথায় যারা ধারণা করেন যে, দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিত নয়? (আহমাদ হা/৯৪৩)। এজন্য জুমহূর বিদ্বানের মতে, উক্ত হাদীছে অযূর পানি দাঁড়িয়ে পান করা মুস্তাহাব হওয়ার কথা বলা হয় নি; বরং প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পানি পান করা যায়, তা বর্ণিত হয়েছে (আহমাদ হা/৯৪৩)

প্রশ্নকারী : আব্দুল হালীম, বাগমারা, রাজশাহী।







বিষয়সমূহ: তাহারাত-পবিত্রতা
প্রশ্ন (৩১/৪৩১) : ঘুমের মধ্যে মন্দ স্বপ্ন দেখি ও ভয় পাই। মাঝে মধ্যেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসব থেকে বাঁচার জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (১২/৯২) : ইয়াযীদী সম্প্রদায় কারা? তাদের সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৬/৯৬) : জনৈক আলেম বলেন, সাত প্রকারের ঘুম আছে। যেমন ১. নাওমুল গাফেলীন, ওয়ায মাহফিলে ঘুমানো। ২. নাওমুল আশক্বিয়া, ছালাতের সময় ঘুমানো। ৩. নাওমুল মালঊনীন, ফজরের ছালাতের সময় ঘুমানো। ৪. নাওমুল মু‘আয্যিবীন, ফজরের আযান থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ঘুমানো। ৫. নাওমুর রাহাহ অর্থ প্রশান্তির ঘুম। এসময়ের স্বপ্ন সত্য হয়। ৬. নাওমুল মারখূছ, মাগরিব ও এশার ছালাতদ্বয়ের পরে ঘুমানো। এসময় ঘুমানোয় কোন দোষ নেই। ৭. নাওমুল হাসরাহ অর্থ ক্ষতির ঘুম। এটি হ’ল জুম‘আর রাতের ঘুম। এমন ভাগাভাগির কোন শারঈ ভিত্তি আছে কি? - -আনছারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (১৫/৪৫৫) : রাসূল (ছাঃ) নারীদেরকে বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ দু’টিকে ত্রুটি বলার পিছনে হিকমত কি?
প্রশ্ন (৪/৪) : ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘এক্বামত হ’লে আমরা ওযূ করতাম এবং ওযূ শেষে ছালাতের জন্য বের হ’তাম’ হাদীছটির ব্যাখ্যা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : মায়ের হাতে বা পায়ে চুমু খাওয়া জায়েয হবে কি? - -আব্দুল হালীম, মালদ্বীপ।
প্রশ্ন (২৮/৪২৮) : আমরা জানি, মেঘের উপরে থাকে পজিটিভ চার্জ আর নীচে থাকে নেগেটিভ চার্জ। যেহেতু বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তাই এই পজিটিভ চার্জ ও নেগেটিভ চার্জ পরস্পরের সংস্পর্শে আসলে উপর থেকে নীচের দিকে চার্জের নির্গমন ঘটে। এর ফলে শক্তির নিঃসরণ ঘটে, শব্দ হয় ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। কিন্তু হাদীছে (তিরমিযী হা/৩১১৭) এই শব্দকে ফেরেশতাদের হাকডাক বলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এ হাকডাক দিয়েই মেঘমালাকে নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (২/৮২) : সন্ধ্যার সময় খাওয়া যাবে না। এসময় মৃত মুরববীদের কবরে খাওয়ানো হয়। এসময় মৃতের জীবিত আত্মীয়-স্বজন কিছু খেলে মৃত ব্যক্তিকে খাবার দেওয়া হয় না, একথার কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১১/৫১) : মেয়েদের নাক ফুটিয়ে অলংকার ব্যবহার করা জায়েয কি? এটি কি সৃষ্টিগত আকৃতি পরিবর্তনের শামিল?
প্রশ্ন (১৫/১৫) : মানববন্ধন বা মিছিল করা কি শরী‘আত সম্মত? - -মেহেদী হাসান, গোপালগঞ্জ।
প্রশ্ন (৬/২০৬) : ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায যলিমীন’ মর্মে বর্ণিত দো‘আটি পাঠের ফযীলত কি? এটি পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দো‘আ হিসাবে পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হ’লে সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়ে কি? এরূপ হ’লে নাকি সন্তান জন্মের সম্ভাবনা কম থাকে কিংবা সন্তান বিকলাঙ্গ হ’তে পারে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.