উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। আর তা হ’ল- জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একজন কুষ্ঠ রোগীর হাত ধরে তাকে নিজের সাথে একই পাত্রে খাওয়াতে বসান। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর নামে এবং (সব ব্যাপারে) তাঁর উপর আস্থা ও ভরসা সহকারে খাও (তিরমিযী হা/১৮১৭; আবূদাউদ হা/৩৯২৫; ইবনু মাজাহ হা/৩৫৪২; মিশকাত হা/৪৫৮৫)। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটিকে ইমাম তিরমিযী, আলবানী, আরনাউত্বসহ সকল মুহাক্কিক যঈফ বলেছেন (যঈফাহ হা/১১৪৪; যঈফুল জামে‘ হা/৪১৯৫)। তাছাড়া এটি সরাসরি ছহীহ হাদীছের বিরোধী। কারণ রাসূল বলেন, ‘তোমরা কুষ্ঠরোগী হ’তে এমনভাবে পলায়ন কর, যেভাবে তোমরা সিংহ থেকে পলায়ন কর’ (বুখারী হা/৫৭০৭; মিশকাত হা/৪৫৭৭)। রাসূল (ছাঃ) একবার ছাক্বীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে জনৈক কুষ্ঠ রোগীর হাতে হাত রেখে বায়‘আত গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। বরং তিনি লোক পাঠিয়ে বলে দেন, আমরা তোমার বায়‘আত নিয়েছি। তুমি ফিরে যাও’ (মুসলিম হা/২২৩১; মিশকাত হা/৪৫৮১)। অতএব উক্ত যঈফ হাদীছের আলোকে ছোঁয়াচে রোগ অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বরং ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব রয়েছে; তবে সেটি কেবল আল্লাহর হুকুমেই সংক্রমিত হয়। এটাই হ’ল সঠিক আক্বীদা। সুতরাং যথাযথভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং করোনা আক্রান্তদের পাশে সাধ্যমত দাঁড়াতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমার রবের প্রতি বিনয়ী হয়ে ও দৃঢ় ঈমান রেখে বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াও (ছহীহাহ হা/২৮৭৭)।
প্রশ্নকারী : আশরাফুল ইসলাম, নওদাপাড়া, রাজশাহী।