প্রশ্ন-১৫. যে কোন পর্যায়ের নেতার আনুগত্য করা প্রয়োজন। কিন্তু এজন্য প্রত্যেক নেতার হাতে আনুগত্যের বায়‘আত করা কি আবশ্যক?উত্তর : না, বরং কেবল খলীফার আনুগত্য প্রকাশের জন্য ‘আহলুল হাল্লি ওয়াল আকদে’র মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বায়‘আত করা আবশ্যক (إجْبَارِى)। আর বাক
(এপ্রিল ২০২৪-এর পর)প্রশ্ন-৩ : জামা‘আত নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয়ের কারণ কী?উত্তর : জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপনকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার পিছনে একটা বড় কারণ হ’ল, সমালোচকের ব্যক্তিগত দুর্বলতা। যেমন- স্বভাবজাত অন্তর্মুখিতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, অসামাজিকতা, স্বে
ভূমিকা : ইসলাম কেবল কিছু ব্যক্তিগত জীবনাচরণের নাম নয়, কিছু ইবাদত আর আদবের সমষ্টি নয়; বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের দিক-নির্দেশনা বিদ্যমান। ইসলামের প্রতিটি নির্দেশনাই হিকমতপূর্ণ এবং সুশৃংখল। দুর্ভাগ্যজনক হ’ল, পশ
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ষষ্ঠ দলীল : নবীগণ যেমন তাঁদের উম্মাতের জন্য সুফারিশ করবেন, পীরগণ তেমনি তাদের মুরীদদের জন্য সুফারিশ করবে। হাদীছে এসেছে, যখন ঈমানদারগণ দেখবে যে, তাদের ভাইদেরকে রেখে একমাত্র তারাই মুক্তি পেয়েছে, তখন তারা বলবে,رَبَّن
পঞ্চম দলীল : আল্লাহ তা‘আলার বাণী- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ، ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের’ (নিসা ৪/৫৯)। অত্র আয়াতে বর্ণিত
ইসলাম মহান আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। যা মেনে চলা সমগ্র মানব ও জিন জাতির উপর ফরয। আল্লাহ যেমন এর বিধান নাযিল করেছেন, তেমনি তা বাস্তবে রূপদানের জন্য নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে আমাদের মাঝে প্রেরণ করেছেন। তাঁর জীবদ্দশায়ই ইসলাম পূর্ণতা লাভ কর
ভূমিকা : পৃথিবীর সকল কিছুর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা হচ্ছেন আল্লাহ। তিনি যেমন মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপযুক্ত আবাসভূমি দুনিয়া। আর দুনিয়ার মধ্যে কতিপয় স্থানকে বিশেষ মর্যাদামন্ডিত করেছেন। তন্মধ্যে পবিত্র কা‘বা গৃহের অবস্থ
উত্তর : কুরবানীর জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হ’তে হ’লে প্রাণীকে শারিরীকভাবে নিখুঁত হ’তে হবে (নাসাঈ হা/৪৩৬৯, মুওয়াত্ত্বা, তিরমিযী প্রভৃতি, মিশকাত হা/১৪৬৩, ৬৪, ৬৫)। তবে শুধু হিজড়া হওয়া মৌলিক কোন ত্রুটি নয়। সুতরাং তা কুরবানী করা বা সাধারণভাবে যবেহ করা বৈধ
(১) সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নামধারী কিছু রাজনৈতিক ধর্মনেতা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আহলেহাদীছ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবিরতভাবে মিথ্যাচার করে চলেছেন। তারা হানাফীদেরকে আহলেহাদীছের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেবার অপকৌশল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মিডি
গত ৫ই ফেব্রুয়ারী’১২-তে ঢাকার একটি দৈনিকে প্রকাশিত এদেশের একটি পরিচিত ইসলামী রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের একজন প্রভাবশালী ব্যারিষ্টার সদস্যের লিখিত প্রবন্ধটি অনেক পরে ‘নেটে’ পড়লাম। লেখাটিতে তিনি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের আরব বসন্তের ঢেউয়ে
বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের কুমিল্লা যেলার তিতাস থানার সন্নিকটে গোপালপুর গ্রাম অবস্থিত। এর আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অতি মনোরম। এখানকার কিছু মানুষ ধর্মীয় ফিৎরাতের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে, নিজেদের স্বকীয়তা ও অনন্য বৈশিষ্ট্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে, চির জা
সারা বিশ্বে একই দিনে ছিয়াম ও ঈদ পালন নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একশ্রেণীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে ১৯৮৬ সালের ১১-১৬ অক্টোবর ওআইসির অঙ্গ সংগঠন ‘ইসলামী ফিকহ একাডেমী’ জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এ ব্যাপারে একটি স
বিগত দিনসমূহে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ এবং তার সহযোগী ও সমমনা লেখক ও বক্তাদের লেখনী ও বক্তৃতাসমূহের মাধ্যমে এবং সুসংগঠিত দাওয়াতের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে বাংলাভাষী মুমিন নর-নারীদের মধ্যে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী জীবন গড়ার যে চেতনা
গত ১০ই অক্টোবর’১৪ শুক্রবার বাদ আছর ময়মনসিংহ যেলার সদর থানাধীন দাপুনিয়া বাজার সংলগ্ন গোষ্ঠা দক্ষিণ পাড়া আইনুদ্দীন মুন্সীবাড়ী মারকায মসজিদে উপরোক্ত বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বাহাছ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বাহাছে ১ম পক্ষ অর্থাৎ সঊদী আরবের সঙ্গে একই দিনে ছিয়া
অসুস্থ ব্যক্তির চেয়ারে বসে ছালাত আদায়ের ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ফৎওয়া বোর্ড অসুস্থ ব্যক্তির জন্য চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। অথচ
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হকপিয়াসী অনেক দ্বীনী ভাই মাযহাবী গোঁড়ামি ও তাক্বলীদে শাখছী তথা অন্ধ ব্যক্তি পূজার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে অভ্রান্ত সত্যের উৎস পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পতাকাতলে সমবেত হচ্ছেন। এতে মাযহাবী ভাইদের অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছ
ভূমিকা : সমাজে প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে যে, মক্কা-মদীনার আলেমরাই হ’লেন প্রকৃত আলেম। তাঁদের ন্যায় বিজ্ঞ আলেম মক্কা-মদীনা তথা সঊদী আরবের বাইরে নেই। এই ধারণা যথার্থ নয় এবং এটা কুরআন-হাদীছ বিরোধী। এই ধারণা বদ্ধমূল হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি য
[সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট একজন আলেম পৃথিবীর বয়স সম্পর্কে একটি বিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি ইমাম মাহদীর সম্ভাব্য আগমনকাল আগামী ২০১৯/২০২০ সাল বলে মন্তব্য করায় অনেকের মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে। ১৯৯৬ সালে জনৈক মিসরীয় লেখক আমীন মুহাম্মাদ জামালুদ্দীন একই
[বর্তমান বাংলাদেশের দিনাজপুর যেলাধীন পার্বতীপুর সদর উপযেলার খোলাহাটি রেল ষ্টেশনের নিকটবর্তী ‘বস্তীর আড়া’ বা (পরবর্তী নাম) ‘নূরুল হুদা’ গ্রামে মাওলানা আব্দুল্লাহেল কাফী আল-কোয়ায়শী (১৯০০-১৯৬০ খৃ.) জন্মগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর পর এখানেই কবরস্থ হন।
প্রশ্ন নং ১০ : বুখারী ও মুসলিম কি বিশুদ্ধ কিতাব?উত্তর : আলেম সমাজ একমত যে বুখারী ও মুসলিম বিশুদ্ধ কিতাব। এ দু’টি কিতাবকে একত্রে ‘ছহীহায়ন’ তথা বিশুদ্ধ দু’খানা কিতাব বলা হয়। বুখারী ও মুসলিমের বিশুদ্ধতার বিষয়ে মনীষীদের সুচিন্তিত অভিমত নিম্নে প্রদত্ত হ’ল
প্রশ্ন : মাযহাবগুলো সম্পর্কে মন্তব্য কি? তারা কিمَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِى এবংعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ হাদীছদ্বয় অনুযায়ী ঠিক আছে?উত্তর : ‘মাযহাব’ (مذهب) শব্দের অর্থ মত, পথ, মতবাদ, আদর্শ, বিশ্বা
প্রশ্ন : ছহীহ হাদীছের মাপকাঠি বা বৈশিষ্ট্য কি?উত্তর : ছহীহ হাদীছের সংজ্ঞা থেকেই ছহীহ হাদীছের মাপকাঠি ও বৈশিষ্ট্য জানা যায়।ছহীহ হাদীছের সংজ্ঞা :مَا اِتَّصَلَ سَنَدُهُ بِنَقلِ العَدلِ الضَّابِطِ عَن مثله إِلَى مُنتَهَاهُ مِن غَيرِ شُذُوذٍ وَلاَ عِلَّةٍ
(৩য় কিস্তি) প্রশ্ন : ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’-এর ব্যাখ্যা কি? উত্তর : أهل السنة শব্দটি مركب বা যৌগিক শব্দ। যার একটি أهل (আহল), অপরটি السنة (আস-সুন্নাহ)।أهل শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল صاحب বা মালিক, অধিকারী, ওয়ালা ইত্যাদি। আর السنة শব্দটি একব
[নির্মল কুমার সেনগুপ্ত (১৯৩০-২০১৩ খৃ.) বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাংবাদিকতা জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ যেলার কোটালীপাড়া উপযেলার দিঘীরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৪ বছর বয়স থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৬ সালে পরিবারের সবাই পশ্চিম
ছাহাবায়ে কেরাম কি আমাদের আদর্শ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন? উত্তর : মুসলমানদের অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ হ’লেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মাদ (ছাঃ)।[1] অতঃপর দ্বীনের অতন্দ্র প্রহরী, ইসলামের জন্য জান-মাল উৎসর্গকারী নিবেদিতপ্রাণ ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)।