উত্তর : ছালাতে
শিশুদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া উত্তম। এতে শিশুকাল থেকেই মসজিদে ছালাত
আদায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেকারণ নববী যুগে শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়ার
প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শিশুর ক্রন্দন শ্রবণের কারণে ছালাত
সংক্ষিপ্ত করেছেন (বুখারী হা/৭০৯; মুসলিম হা/৪৭০)। তিনি তাঁর দুই নাতি হাসান ও হোসাইন-কে কোলে নিয়ে জুম‘আর খুৎবাও দিয়েছেন (আবুদাঊদ হা/১১০৯; ইবনু মাজাহ হা/২৯২৬)।
উপরন্তু তিনি নাতনীকে নিয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করেছেন। আবু ক্বাতাদাহ
(রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ইমামতি করতে দেখেছি, এমতাবস্থায়
নাতনী উমামা বিনতে যয়নব তার কাঁধে ছিল। যখন তিনি রুকূতে যেতেন, তখন তাকে
রেখে দিতেন এবং যখন সিজদা হ’তে উঠতেন, তখন তাকে (পুনরায় কাঁধে) ফিরিয়ে
নিতেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৯৮৪ ‘ছালাত’ অধ্যায়)। একদিন রাসূল (ছাঃ) এশার ছালাতে আসতে দেরী করলে মসজিদে আগত নারী ও শিশুরা ঘুমিয়ে পড়েছিল (বুখারী হা/৫৬৬; মুসলিম হা/৬৩৮)।
অতএব এটা প্রমাণিত যে, সেসময় শিশুরা নিয়মিত মসজিদে যেত। তবে কোন শিশুর
অনিয়ন্ত্রিত আচরণ যদি মুছল্লীদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যায়, তবে ঐসব শিশুদের
মসজিদে আনা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কেননা এতে মুছল্লীদের খুশু-খুযূ বিনষ্ট
হয়। যেমনভাবে কাঁচা-পিয়াজ ও রসুন মুছল্লীদের জন্য কষ্টদায়ক হওয়ায় তা খেয়ে
মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ৩৭)। উল্লেখ্য যে, ‘তোমরা শিশুদের মসজিদ থেকে দূরে রাখো’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৭৫০; যঈফুল জামে‘ হা/২৬৩৬)।