উত্তর : এমতাবস্থায় ছিয়াম পালন বা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। দাওয়াতদাতা কষ্ট পাবে এমন সম্ভাবনা থাকলে ছিয়াম ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। আর আপত্তি না থাকলে ছিয়াম পালন করা উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) আমার নিকট এসে বলতেন, তোমাদের কাছে কোন খাবার আছে কি? আমরা না বললে তিনি বলতেন, আমি ছিয়াম রাখলাম। একদিন তিনি আমাদের কাছে আগমন করলে আমরা বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে কিছু হাইস (উত্তম খাবার) হাদিয়া দেওয়া হয়েছে। আমরা তা আপনার জন্য রেখে দিয়েছি। তিনি বললেন, তা আমার কাছে নিয়ে এসো। অথচ তিনি ছিয়াম অবস্থায় সকাল করেছেন, পরে তা খেয়ে ছিয়াম ছেড়ে দিলেন (মুসলিম হা/১১৫৪; মিশকাত হা/২০৭৬)।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কাউকে যদি খাবার জন্য দাওয়াত দেয়া হয়, আর সে ব্যক্তি ছায়েম হয়, তার বলা উচিত, আমি ছায়েম। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, তোমাদের কাউকে দাওয়াত দেয়া হ’লে তার উচিত দাওয়াত কবুল করা। সে ছায়েম হ’লে দাওয়াত দাতার জন্য দো‘আ করবে। আর ছায়েম না হ’লে খাওয়ায় অংশ নেবে (মুসলিম হা/১৪৩১; মিশকাত হা/২০৭৮)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ)-এর জন্য খাবার প্রস্ত্তত করা হ’ল। যখন পরিবেশন করা হ’ল তখন একজন লোক বলল, আমি ছায়েম। রাসূল (ছাঃ) তাকে বললেন, তোমার ভাই তোমাকে দাওয়াত করেছে এবং তোমাকে পীড়াপীড়ি করছে। সুতরাং ছিয়াম ছেড়ে দাও। চাইলে এর পরিবর্তে একদিন ছিয়াম পালন করে নিয়ো (বায়হাক্বী, শাওকানী, নায়লুল আওত্বার ৪/৩০৬, সনদ হাসান)। মোদ্দাকথা, নফল ছায়েম তার ছিয়ামের ব্যাপারে স্বাধীন। চাইলে সে পূর্ণ করতে পারে। চাইলে ছেড়েও দিতে পারে (আহমাদ হা/২৬৯৩৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৫৪; ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৪৭৮)।
প্রশ্নকারী : রাশেদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা।