উত্তর : আক্দ
হওয়ার অর্থই হ’ল বিবাহ হওয়া। সুতরাং মিলন হৌক বা না হৌক উক্ত স্ত্রীর মাকে
কোন অবস্থায় বিবাহ করা যাবে না। কেননা বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর মা
স্থায়ীভাবে হারাম হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল-
তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনেয়ী, দুধ-মা, দুধ-বোন,
শ্বাশুড়ী, সহবাসকৃত স্ত্রীদের (অন্য স্বামীর) কন্যা’ (নিসা ৪/২৩)।
ওমর ফারূক (রাঃ)-এর খেলাফতকালে (১৩-২৩ হি.) ইরাকের কূফায় খেলাফতের পক্ষ হ’তে রাষ্ট্রীয় শিক্ষক ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বশীল থাকা অবস্থায় দু’টি বিষয়ে তিনি স্বীয় রায় অনুযায়ী ফৎওয়া দেন। একটি হ’ল (ক) জনৈক ব্যক্তি বিয়ের পরে তার শ্বাশুড়ীকে দেখে মুগ্ধ হয় এবং শ্বাশুড়ীকে বিয়ে করার জন্য (মিলনের পূর্বেই) স্ত্রীকে তালাক দেয়। এই সিদ্ধ হবে কি-না জিজ্ঞেস করা হ’লে ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘এতে আর দোষ কি (لاَ بَأْسَ) একথা শোনার পর লোকটি উক্ত মহিলাকে (পূর্বতন শ্বাশুড়ীকে) বিয়ে করে এবং কয়েকটি সন্তান লাভ করে’।
অতঃপর ইবনু মাসঊদ (রাঃ) মদীনায় এলে তিনি উক্ত বিষয়ে ছাহাবায়ে কেরামের নিকট জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বিয়ে সিদ্ধ না হওয়ার কথা বললেন। তখন তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারলেন এবং (কূফায়) ফিরে এসে উক্ত ব্যক্তিকে খোঁজ করলেন। কিন্তু না পেয়ে অবশেষে তার গোত্রের নিকটে গেলেন ও তাদেরকে ডেকে বললেন ‘আমি যে ব্যক্তিকে তার পূর্বতন শ্বাশুড়ী বিয়ে করার ফৎওয়া দিয়েছিলাম ঐ বিয়ে সিদ্ধ হয়নি’ (দ্রঃ থিসিস ১৩৯-৪০ পৃ.)।