উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা তাঁর নবুঅত প্রাপ্তির পূর্বেই মারা গেছেন। ফলে তাঁরা ঈমান আনার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতার ঈমান আনা সম্পর্কিত যত বর্ণনা এসেছে তার অধিকাংশই জাল। কিছু যঈফ বর্ণনা রয়েছে সেগুলোও পরিত্যাজ্য (আযীমাবাদী, ‘আওনুল মা‘বূদ ১২/৩২৪ পৃ.)। প্রশ্নোল্লেখিত বর্ণনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন, নিঃসন্দেহে এটি জাল। এই জালকারীরা স্বল্প বিদ্যাধারী মূর্খ। কেননা তারা জানে না যে, কাফের অবস্থায় মৃত্যুর পর পুনরায় জীবন পেয়ে ঈমান আনলেও তা কোন কাজে আসে না’ (আল-মাওযূ‘আত ১/২৮৩)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, তাঁর পিতা-মাতার ঈমান আনয়নের ব্যাপারে কোন মুহাদ্দিছ হাদীছ বর্ণনা করেননি। বরং তারা ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, এ সংক্রান্ত সকল বর্ণনা মিথ্যা ও জাল। এ সম্পর্কে কোন বর্ণনা কোন নির্ভরযোগ্য ছহীহ, সুনান বা মুসনাদের কিতাবে বর্ণিত হয়নি (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৩২৫-২৭)। বরং তাঁর পিতা-মাতা মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় তারা জাহান্নামী হওয়ার ব্যাপারে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে মুশরিক অবস্থায় মৃত তার পিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ও তোমার পিতা জাহান্নামে’ (মুসলিম হা/২০৩)। রাসূল (ছাঃ) মুশরিক অবস্থায় মৃত তাঁর মায়ের জন্য ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার অনুমতি চাইলে আল্লাহ তাকে অনুমতি দেননি। কেবল কবর যিয়ারতের অনুমতি দেন’ (মুসলিম হা/৯৭৬)।
প্রশ্নকারী : মাযহারুল ইসলাম, শিবগঞ্জ, বগুড়া।