উত্তর : খাদ্য গ্রহণের আদবসমূহ হ’ল : (১) হালাল ও পবিত্র রূযী খাবে (বাক্বারাহ ২/১৬৮)। (২) অতঃপর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিবে (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৪৮৫)। (৩) বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করবে (আবুদাউদ হা/৩৭৬৭; ইরওয়া হা/১৯৬৫)। (৪) অতঃপর ডান হাত দিয়ে খাবে এবং পান করবে (মুসলিম হা/২০২০; মিশকাত হা/৪১৬২)। (৫) পাত্রের মধ্যস্থল থেকে খাবে না বরং নিকট থেকে খাবে (বুখারী হা/৫৩৭৬, তিরমিযী হা/১৮০৫; মিশকাত হা/৪১৫৯, ৪২১১)। (৬) প্রথমে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে স্মরণ হলেই ‘বিসমিল্লাহি আউয়ালাহূ ওয়া আখেরাহূ’ বলবে (আবুদাউদ হা/৩৭৬৭; মিশকাত হা/৪২০২)। (৭) প্লেট এবং আঙ্গুল ভালভাবে চেটে খাবে (মুসলিম হা/২০৩৪; আবুদাউদ হা/৩৮৪৫)। (৮) যদি খাবার পড়ে যায় তাহলে তা উঠিয়ে ছাফ করে খেয়ে নিবে। কারণ সে জানে না কোন খাবারে বরকত আছে (মুসলিম হা/২০৩৪; তিরমিযী হা/১৮০৩) (৯) একাকী না খেয়ে একত্রে খাবে। এতে বরকত রয়েছে। (আবুদাউদ হা/৩৭৬৪; মিশকাত হা/৪২৫২)। (১০) পান করার সময় পাত্রের বাইরে ৩ বার নিঃশ্বাস ফেলবে (বুখারী হা/৫৬৩১;  ছহীহাহ হা/৩৮৭)। (১১) পানির পাত্রে বা খাবারে নিশ্বাস ছাড়বে না বা ফুঁক দিবে না। (বুখারী হা/১৫৩; মিশকাত হা/৪২৭৭)। (১২) দাঁড়িয়ে পানাহার করবে না (মুসলিম হা/২০২৬; মিশকাত হা/৪২৬৭)। (১৩) পেটের একভাগ খাদ্য দিয়ে ও একভাগ পানি দিয়ে ভরবে এবং একভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে (তিরমিযী হা/২৩৮০)। (১৪) কাত হয়ে বা ঠেস দিয়ে খাবে না (বুখারী হা/৫৩৯৮; মিশকাত হা/৪১৬৮)। (১৫) খাওয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খাবে। অহেতুক গল্প-গুজব করবে না। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে এবং শেষে বলবে আল-হামদুল্লিাহ এবং অন্যান্য দো‘আ পড়বে। (১৬) খাওয়া শেষে প্লেট বা দস্তরখান উঠানোর সময় বলবে, আলহামদুলিল্লা-হি হামদান কাছীরান ত্বাইয়েবাম মুবা-রাকান ফীহি’ (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৯৯)। (১৭) দাওয়াত খেলে মেযবানে জন্য দো‘আ করে বলবে, আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী’ (মুসলিম হা/২০৫৫; আহমাদ হা/২৩৮৬০ ‘সনদ ছহীহ’)

-মুহাম্মাদ ছানাউল্লাহ, রাজশাহী।







প্রশ্ন (৯/৪৪৯) : যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করবে এবং তারাবীহর ছালাত আদায় করবে, সে ব্যক্তি পাপ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে, যেন সে তার মায়ের পেট থেকে সদ্য ভূমিষ্ট হয়েছে। উক্ত হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : হানাফী মাযহাবের ভাইয়েরা বলেন যে, ফিক্বহ শাস্ত্রের উৎপত্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে হয়েছে। দলীল হিসাবে বলেন, একবার মু‘আয ইবনু জাবালকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইয়ামনে গভর্ণর করে পাঠালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে বিচার করবে? তিনি বললেন, কুরআন দ্বারা। রাসূল (ছাঃ) বললেন, কুরআনে না পেলে? তিনি বললেন, হাদীছ দ্বারা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হাদীছে না পেলে? তিনি বললেন, আমি আমার রায় দ্বারা ইজতিহাদ করব। তখন তিনি তার উপর খুশী হ’লেন। এ হাদীছ কি ছহীহ?
প্রশ্ন (৩০/১৯০) : ব্যাংকে ডিপিএসকৃত টাকা থেকে সূদ দান করে দিয়ে মূল অর্থ দিয়ে হজ্জ বা ওমরাহ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/২৯৫) : কলম, প্লাস্টিক ইত্যাদি ফ্যাক্টরীর মালিকেরা যদি সূদের উপর ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালায়, সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৭/১৪৭) : কুরআন মাজীদ মুখস্থ পড়ায় এক হাযার এবং দেখে পড়ায় দুই হাযার নেকী হয়। এর সত্যতা আছে কি? - -মহীউদ্দীন, তালা, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩/১২৩) : আছরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোন ক্বাযা ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : বাংলাদেশ খেলায় জিততে পারবে না অথবা তুমি পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না। এ ধরনের কথা কি শিরকের আওতায় পড়ে?
প্রশ্ন (৪/৮৪) :পারিবারিকভাবে ছেলে-মেয়ের বিবাহ ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু আকদ হবে ৮ মাস পর। এমতাবস্থায় ছেলে-মেয়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ বা ফোনে কথা বলতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৫৫) : অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়ার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : মসজিদ আল্লাহর ঘর, তিনিই এর হেফাযত করে থাকেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা যুদ্ধের সময় দেখা যায় যে অনেক মসজিদও বিলীন হয়ে যায়। এর ব্যাখ্যা কী?
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : বাড়ীতে প্রবেশের দো‘আ হিসাবে বর্ণিত ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আগমন ও নির্গমনের মঙ্গল চাই’ দো‘আটি কি ছহীহ? - -আব্দুল মান্নান, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১/৪৪১) : হানাফী বিদ্বান আব্দুল হাই লাক্ষ্ণোভী একত্রে তিন তালাক সম্পর্কে যে ফৎওয়াটি দিয়েছেন তা বিস্তারিত জানতে চাই। - -আব্দুর রঊফ, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ।
আরও
আরও
.