উত্তর : ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শ্রেষ্ঠ দো‘আ হ’ল ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (তিরমিযী হা/৩৩৮৩; মিশকাত হা/২৩০৬)। এরপর নবাগত সন্তান ও তার ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন দো‘আ করা যায়। যেমন মু‘আবিয়া বিন কুররা (রাঃ) বলেন, ‘আমার সন্তান ইয়াস জন্মগ্রহণ করলে আমি একদল ছাহাবীকে দাওয়াত করে খাওয়াই। তাঁরা দো‘আ করলেন। আমি বললাম, আপনারা দো‘আ করেছেন। আপনারা যে দো‘আ করেছেন আল্লাহ তাতে বরকত দান করুন! আমিও এখন কতগুলি দো‘আ করব, আপনারা ‘আমীন’ বলবেন। রাবী বলেন, আমি নবজাতকের দ্বীনদারী ও জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে তার জন্য অনেক দো‘আ করলাম। রাবী বলেন, আমি সেদিনের দো‘আর বরকত লক্ষ্য করছি (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১২৫৫, সনদ ছহীহ মাক্বতূ‘)। নবাগত সন্তানের জন্য নিম্নের দো‘আটিও পাঠ করা যায়- ‘জা‘আলাহুল্লাহু মুবারাকান ‘আলায়কা ওয়া ‘আলা উম্মাতে মুহাম্মাদিন (ছাঃ)’ (আল্লাহ নবজাতককে তোমার জন্য এবং উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য বরকত মন্ডিত করুন) (ত্বাবারাণী, আদ-দো‘আ হা/৯৪৫, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য যে, সমাজে প্রচলিত নবজাতকের জন্য দো‘আ- بَارَكَ اللهُ لَكَ فِي المَوْهُوبِ لَكَ، وَشَكَرْتَ الوَاهِبَ، وبَلَغَ أشُدَّهُ، وَرُزِقْتَ بِرَّه، ‘তোমাকে যা দান করা হয়েছে আল্লাহ তাতে বরকত দিন। তুমি দানকারীর শুকরিয়া আদায় কর, সে তার বয়স পূর্ণ করুক এবং তোমাকে তার পুণ্য প্রদান করা হোক’ (ইবনু আবিদ-দুনিয়া, আল-‘ইয়াল হা/২০১; মুসনাদ ইবনুল জা‘দ হা/১৪৪৮) মর্মে বর্ণিত আছারটি যঈফ (লিসানুল মীযান ৮/৩৫২)। তবে মর্মার্থ সঠিক হওয়ায় বলা যেতে পারে (নববী, আল-আযকার হা/৮৫৩; সালীম হেলালী, ছহীহুল আযকার লিন-নববী ২/৭১৩; ইবনুল ক্বাইয়িম, তোহফাতুল মওলূদ ১/২৯)। এর জওয়াবে সন্তানের সুসংবাদদাতার জন্য নিম্নের দো‘আ পাঠ করা মুস্তাহাব-بَارَكَ اللهُ لَكَ، وبَارَكَ عَلَيْكَ، وجَزَاكَ اللهُ خَيْراً، ورَزَقَكَ اللهُ مِثْلَهُ، وأجْزَلَ ثَوَابَكَ، ‘বারাকাল্লাহ লাকা ওয়া বারাকা ‘আলায়কা ওয়া জাযাকাল্লাহ খায়রান ওয়া রাযাক্বাকাল্লাহ মিছলাহু ওয়া আজ্যালা ছওয়াবাকা’- আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন, আর আপনার ওপর বরকত নাযিল করুন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, আর আপনাকেও অনুরূপ দান করুন এবং আপনার ছওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করুন (নববী, আল-আযকার হা/৮৫৩; হিছনুল মুসলিম, দো‘আ নং ১৪৫)।

প্রশ্নকারী : শাহাদাত হোসাইন, মাদারীপুর।








প্রশ্ন (১৬/৫৬) : ছালাতরত অবস্থায় কোন বিশেষ কারণে কয়েক ধাপ স্থান পরিবর্তন করতে হ’লে ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (২১/৪৬১) : জনৈক নারী হঠাৎ মারা গেছেন। তাদের কোন সন্তান নেই। স্বামী, পিতা-মাতা ও এক সহোদর বোন আছেন। স্বামী জীবদ্দশায় মোহর আদায় করেননি। এখন তিনি তা আদায় করতে চান। উক্ত মোহরের হকদার কে হবে? স্বামী তা দান করতে পারবে কি? স্ত্রীর চাকুরী থেকে প্রাপ্ত কিছু টাকা স্বামীর একাউন্টে জমা আছে। ঐ টাকার হকদার কে হবেন?
প্রশ্ন (৩২/৩১২) : যে মাসের রামাযান শুরু হবে শুক্রবার দিয়ে সেই রামাযানের ১৫ তারিখে আকাশে একটি বিকট আওয়াজ হবে এবং তাতে ৭০ হাযার মানুষ অজ্ঞান, ৭০ হাযার অন্ধ, ৭০ হাযার বোবা এবং অসংখ্য মানুষ মারা যাবে। বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৫/১৪৫) : ইমাম শাফেঈ (রহঃ) কি ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের কাপড় ধুয়ে সে পানি দ্বারা বরকত কামনা করতেন?
প্রশ্ন (১৭/২১৭) : আল্লাহ তা‘আলা যে আমাদের রিযিক লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, সেটা কি আমাদের চেষ্টা বা কৃতকর্মের উপরে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, নাকি আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন?
প্রশ্ন (১১/৯১) : পাঠা ছাগল দ্বারা কুরবানী দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১০/২৫০) : জামা‘আত চলাকালীন সময়ে পিছনের কাতারে একাকী হয়ে গেলে সামনের কাতার থেকে কাউকে টেনে আনতে হবে কি?
প্রশ্ন (৯/২০৯) : জানাযার দো‘আর মধ্যে সন্তানগণ ‘রাবিবরহামহুমা কামা...’ দো‘আটি পাঠ করতে পারবে কি? বিশেষত ইমামতির সময় এরূপ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/২২৯) : বিবাহের পূর্বে পাত্রকে পাত্রীর ছবি দেওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২১/২২১) : পিতা জীবিত অবস্থায় কন্যা সন্তানদের কোন সম্পত্তি হেবা করতে পারবেন কি? পারলে কতটুকু পারবেন?
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : ছালাতে এক্বামত দেওয়ার সময় ‘হাইয়া ‘আলাছ ছালাহ’ বলার পর মুছল্লীগণ দাঁড়াবেন এবং আগে দাঁড়ানো যাবে না, শরী‘আতে এরূপ কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (২/৪২) : ছেলে তার খালা ও ফুফুর বাসায় থাকে। কিন্তু তারা শারঈ পর্দার বিধান যথাযথভাবে মেনে না চলায় ছেলেকে বিভিন্নভাবে গুনাহের সম্মুখীন হ’তে হয়। এক্ষণে তার করণীয় কি?
আরও
আরও
.