উত্তরঃ সূদকে আল্লাহ হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)।
সুতরাং সূদ গ্রহণ করা ও সূদের সাথে সংশ্রব রাখা কবীরা গোনাহ। রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) সূদ গ্রহীতা, সূদ দাতা, সূদের লেখক ও সাক্ষীদেরকে অভিসম্পাত করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সূদের (পাপের) সত্তরটি স্তর রয়েছে। যার নিম্নতম স্তর হ’ল মায়ের সাথে যিনা করার (সমতুল্য) পাপ’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৭৪; মিশকাত হা/২৮২৬)। তিনি আরো বলেন, ‘জ্ঞাতসারে কোন ব্যক্তির এক দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) সূদ গ্রহণ করা, ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে অনেক বেশী পাপ’ (আহমাদ, মিশকাত হা/২৮২৫, সনদ ছহীহ)।
আল্লাহর নবী স্বপ্নে দেখেন যে, একটি রক্তের নদীতে জনৈক ব্যক্তি সাতার কেটে
তীরে উঠতে চাচ্ছে, কিন্তু তীরে দাঁড়ানো লোকটি তাকে পাথর মারছে। ফলে সে
তীরে উঠতে পারল না। পরে জিবরীল ও মীকাঈল রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, লোকটি
সূদখোর (বুখারী, মিশকাত হা/৪৬২১ ‘স্বপ্ন’ অধ্যায়)।