উত্তর : এক্ষেত্রে কর্তব্য হ’ল (১) বিভিন্ন উপায়ে সরকারকে নছীহত করা (আহমাদ হা/৮৭৮৫; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৪৪২) (২) সকল প্রকার বৈধ পন্থায় প্রতিবাদ জানানো। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের উপরে ভালো ও মন্দ দু’ধরনের শাসক আসবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে সে দায়িত্বমুক্ত হবে। যে ব্যক্তি তাকে অপসন্দ করবে, সে নিরাপত্তা লাভ করবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তার উপর রাযী থাকবে ও তার অনুসারী হবে (সে গোনাহগার হবে)’ (মুসলিম হা/১৮৫৪; মিশকাত হা/৩৬৭১)। (৩) সরকারের হেদায়াতের জন্য দো‘আ করা। রাসূল (ছাঃ) দাওস কওমের হেদায়াতের জন্য দো‘আ করেছিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৯৯৬)। (৪) সরকারের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকটে কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করা। ৭০ জন ছাহাবীকে শঠতার মাধ্যমে হত্যাকারী রে‘ল ও যাকওয়ান গোত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে রাসূল (ছাঃ) মাসব্যাপী কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করেছিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৯)

সরকারের সুস্পষ্ট কুফরী প্রমাণিত হলে, শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৬৬)। তবে উক্ত বিদ্রোহ কল্যাণকর হবে কি-না, সে বিষয়ে অবশ্যই দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম পরামর্শ করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং মুসলিম নাগরিকগণ তাদের অনুসরণ করবেন। বিদ্রোহ করায় কল্যাণের চেয়ে যদি অকল্যাণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে, তাহ’লে বিদ্রোহ করা যাবে না। বরং ধৈর্যধারণ করতে হবে, যতক্ষণ না আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন ফয়ছালা নাযিল হয় (বাক্বারাহ ১০৯, তওবা ২৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, শাসকের নিকট থেকে কেউ অপসন্দনীয় কিছু দেখলে যেন সে ধৈর্যধারণ করে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৬৭)। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৭২)। ‘কেননা তাদের পাপ তাদের উপর এবং তোমাদের পাপ তোমাদের উপর বর্তাবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৭৩)। তিনি বলেন, তোমরা তাদের হক দিয়ে দাও। কেননা আল্লাহ শাসকদেরকেই জিজ্ঞেস করবেন তাদের শাসন সম্পর্কে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৭৫)






প্রশ্ন (২৫/৪৬৫) : জীবদ্দশায় হজ্জব্রত পালনকারী পিতা মৃত্যুর সময় অল্প কিছু সম্পদ রেখে গেছেন এবং দরিদ্র সন্তানকে উক্ত টাকা দিয়ে হজ্জ করার জন্য অছিয়ত করে গেছেন। যা দ্বারা হজ্জ করলে তার দরিদ্রতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষণে সন্তানের জন্য করণীয় কি? - -মাহমূদুল হক, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৩/৪৩৩) : কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে টাখনুর নীচে কাপড় নামানো যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/১৩২) : গোসল কি ওযূর বিকল্প হ’তে পারে? কেউ যদি ভুলবশতঃ কেবল গোসল করে ছালাত আদায় করে, তবে তা কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (২৪/৪২৪) : আযানের সময় যেমন উত্তর দিতে হয়, তেমনি এক্বামতের সময়ও কি একইভাবে উত্তর হবে?
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : আত-তাহরীক ডিসেম্বর ২০১১ সংখ্যায় ‘পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর কাহিনী’ প্রবন্ধে উযযা মূর্তি চূর্ণ করা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, উয্যা একটি মূর্তির নাম। যার প্রাণ নেই, হাঁটা চলার শক্তি নেই। তাহ’লে খালেদ যে নগ্ন মহিলাকে বেরিয়ে আসতে দেখেন এবং দ্বিখন্ডিত করে ফেললেন আসলে সেটি কি ছিল?
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) : ভুলবশতঃ তিন তাকবীরে জানাযার ছালাত আদায় করা হয়ে গেলে করণীয় কী?
প্রশ্ন (১৬/৪৫৬) : এমএক্সএন হারবালের ডিলার হিসাবে ব্যবসা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩২/১৫২) : রাসূল (ছাঃ) অহি প্রাপ্তির পর কখনো কি হেরা গুহায় আরোহন করেছেন? - -মুহাম্মাদ নূরুল ইসলামনিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৯/২৯৯) : আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। পিতার মৃত্যুর পর আমাকে নিয়েই মায়ের সব আশা। বর্তমানে আমি দাড়ি রেখেছি তাতে আমার মা ও আত্মীয়-স্বজন ভীষণ অসন্তুষ্ট। প্রতিনিয়ত আমাকে তা কাটার জন্য নির্দেশ দেন। এক্ষণে মায়ের নির্দেশে জিহাদে গমন থেকে দূরে থাকার ন্ - রুবেল রাণা, কাযীপুর, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : ছালাতের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর পর কোন বয়স্ক মুরববীকে উক্ত স্থান ছেড়ে দিলে প্রথম কাতারে ছালাত আদায়ের নেকী পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৪/৩৩৪) : জিহাদ ও ক্বিতালের মধ্যে পার্থক্য কি?
প্রশ্ন (৬/১২৬) : ইবরাহীম (আঃ) আমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম। প্রশ্ন হ’ল, পূর্বের নবী-রাসূলগণের অনুসারীদের নাম কী ছিল?
আরও
আরও
.