উত্তর : রাসূল (ছাঃ) কনস্টান্টিনোপল তথা বর্তমান ইস্তাম্বুল বিজয়ের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে বসে লিখতাম। একদিন তাকে প্রশ্ন করা হ’ল দুই নগরীর মধ্যে কোনটি প্রথম বিজিত হবে, কনস্টানটিনোপল, না রোম? রাসূল (ছাঃ) বললেন, হিরাকল (হিরাক্লিয়াস)-এর শহর (কনস্টান্টিনোপল) (দারেমী হা/৪৮৬; আহমাদ হা/৬৬৪৫; ছহীহাহ হা/৪)। যা ওছমানীয় খলীফা মুহাম্মাদ আল-ফাতেহ (৮৫৫-৮৮৬ হি.)-এর হাতে প্রথম বিজিত হয়। দ্বিতীয় নগরী তথা রোম আল্লাহর ইচ্ছায় ক্বিয়ামতের পূর্বে বিজিত হবে (ছহীহাহ হা/৪-এর আলোচনা)। রাসূল (ছাঃ) কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণের ফযীলতও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সর্বপ্রথম যে দলটি নৌযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে তারা যেন জান্নাতকে অবধারিত করে ফেলল। উম্মে হারাম (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তাদের মধ্যে হব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) বললেন, আমার উম্মতের প্রথম যে দলটি রোমকদের রাজধানী আক্রমণ করবে, তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত। তিনি বললেন, আমি কি তাদের মধ্যে হব? রাসূল (ছাঃ) বললেন, না’ (বুখারী হা/২৯২৪; ছহীহাহ হা/২৬৮)

ওছমানীয় খলীফাদের আক্বীদা মন্দ ছিল বলে ধারণা করার কোন যুক্তি নেই। বরং ছূফীবাদের দ্বারা প্রভাবিত হ’লেও মুহাম্মাদ আল-ফাতেহ গোঁড়া ছূফীদের মধ্যে ছিলেন না। তিনি তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ আলেম হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন এবং উদার মনা ছিলেন। তিনি আলেমদের সম্মান করতেন এবং আলেমদের ন্যায় পোষাক পরিধান করতেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি কনস্টান্টিনোপল জয় করেন।

হযরত ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফতকালে (২৩-৩৫ হি.) সিরিয়ার গভর্ণর থাকাকালীন সময়ে মু‘আবিয়া (রাঃ) ২৭ হিজরী সনে রোমকদের বিরুদ্ধে প্রথম সমুদ্র অভিযান করেন। অতঃপর মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর খেলাফত কালে (৪১-৬০ হি.) ৫২ হিজরী সনে ইয়াযীদের নেতৃত্বে রোমকদের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের উদ্দেশ্যে প্রথম যুদ্ধাভিযান প্রেরিত হয়। ইবনু কাছীর বলেন, ইয়াযীদের সেনাপতিত্বে পরিচালিত উক্ত অভিযানে স্বয়ং হুসায়েন (রাঃ) অংশ গ্রহণ করেন। এতদ্ব্যতীত যোগদান করেছিলেন, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর, আব্দুল্লাহ বিন আববাস, আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের, আবু আইয়ূব আনছারী প্রমুখ খ্যাতনামা ছাহাবীগণ (দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘আশূরায়ে মুহাররম’ বই)

উল্লেখ্য যে, ‘অবশ্যই তোমরা কনস্টান্টিনোপল জয় করবে। এর আমীর ও সৈন্যরা কতইনা সৌভাগ্যবান!’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ যঈফ (যঈফাহ হা/৮৭৮)

প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ যুলফিকার, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।







প্রশ্ন (২৩/৩০৩) : ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করার সময় যদি অমনোযোগিতা এসে যায় তাহ’লে সূরা ফাতিহা পুনরায় পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/২০৪) : আমি একটি মসজিদে বড় অংকের সহযোগিতা করি। কিন্তু সেখানে মীলাদ-ক্বিয়ামসহ যাবতীয় বিদ‘আতী কার্যক্রম হয়ে থাকে। এক্ষণে উক্ত অর্থদানের জন্য কোন নেকী অর্জিত হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : আমি একটি সরকারী প্রজেক্টে কাজ করি। বাচ্চাদের নাশতা প্রদান করতে হয়। নির্ধারিত সংখ্যায় নাশতা তৈরি করতে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে বাচ্চাদের অনুপস্থিতির কারণে নাশতা থেকে যায়। সেগুলি পরে আর দেয়া সম্ভব হয় না, তাই সেগুলো আমি বাড়িতে নিয়ে যাই, এটা কি আমার জন্য জায়েয হবে?
প্রশ্ন (৩২/৩১২) : ছালাতে সালাম ফিরানোর সময় দুই দিকেই ‘ওয়া বারাক্বা-তুহু’ বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (১০/১০): বিতর ছালাতের পরে ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দূস’ বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/৩০৩) : স্ত্রীকে ছালাত আদায়, পর্দা সহ শরী‘আত সম্মতভাবে চলার নির্দেশ দিলেও সে তা মেনে চলছে না। এতে স্বামী কি গোনাহগার হবে? এক্ষণে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (০৭/৩৬৭) : কোন হাদীছ বা ফৎওয়া সুস্পষ্টভাবে ছহীহ হওয়া সত্ত্বেও তা বর্ণনা করার পর অনেককে আল্লাহু আ‘লাম বা আল্লাহ সর্বাধিক অবগত লিখতে দেখা যায়। এটা রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ বা শরী‘আতের প্রতি সন্দেহ সৃষ্টি হিসাবে গণ্য হবে কি? - মা‘ছূম, পুঠিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্নঃ (৯/৪৯) : ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো যায় না এ মর্মে ছহীহ দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (২১/১৮১) : এক কন্যা সন্তানের জননীর ডিভোর্স হওয়ার পর যার সাথে বিবাহ হয়েছে তার প্রথম পক্ষের একজন ছেলে সন্তান ছিল। পরবর্তীতে উক্ত ছেলের সাথে উক্ত মেয়ের বিবাহ হয়েছে। অর্থাৎ মেয়েটির নিজের মা-ই শাশুড়ী এবং ছেলেটির নিজের পিতাই শশুর হয়েছেন। বিবাহটি জায়েয হয়েছে কি?
প্রশ্ন (৬/৩৬৬) : নাম পরিবর্তন করলে নতুন করে আকীকা দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৯/৯৯) : ফরয ছালাতের জন্য ওযূ করে মসজিদে গেলে হজ্জের ছওয়াব পাওয়া যায় মর্মে কোন হাদীছ আছে কি? - -মুরাদ হোসাইন, বাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৩/২৩) : ঋতুবতী মহিলা মাইয়েতকে গোসল দিতে পারবে কি? বিশেষতঃ মাইয়েত যদি তার ব্যাপারে অছিয়ত করে যায়। - -হাবীবুর রহমান, খড়িবাড়ি, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
আরও
আরও
.