উত্তর : ইচ্ছামত সবকিছু ভোগ করা যাবে না, বরং সকল ক্ষেত্রে হালাল-হারাম বাছাই করে চলতে হবে। আল্লাহর নে‘মত ভোগ করার সময় সর্বদা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার অনুভূতি ও স্বীকৃতি থাকতে হবে (বাক্বারাহ ২/১৭২) এবং সকল প্রকারের বাড়াবাড়ি ও অপচয় হ’তে দূরে থাকতে হবে (আ‘রাফ ৭/৩১)। খাদ্যের বিষয়ে সর্বদা দু’টি মূলনীতি মনে রাখতে হবে, (ক) সেটি যেন হালাল হয় এবং (খ) পবিত্র হয় (বাক্বারাহ ২/১৬৮)। তাই হারাম ও অপবিত্র বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বস্ত্ত খাওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যা খুশী খাও, পান কর, ছাদাক্বা কর, পরিধান কর। যতক্ষণ না তাতে অপচয় ও অহংকার মিশ্রিত হয়’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৬০৫; মিশকাত হা/৪৩৮১)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যা খুশী খাও এবং যা খুশী পরিধান কর। তবে এ বিষয় তোমাকে দু’টি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তা হ’ল অপচয় ও অহংকার (বুখারী তা‘লীক, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪৩৮০, ‘পোষাক’ অধ্যায়)।
মিক্বদাদ বিন মা‘দীকারিব হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, পিঠ সোজা রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই মাত্র খাবে। যদি তার চেয়ে অতিরিক্ত খেতেই হয়, তবে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য দ্বারা ও এক-তৃতীয়াংশ পানীয় দ্বারা পূর্ণ করবে এবং বাকী এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে’ (তিরমিযী হা/২৩৮০, মিশকাত হা/৫১৯২ ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়; ইরওয়া হা/১৯৮৩)।