উত্তর : নফল ছিয়াম কারণবশতঃ ছেড়ে দিলে তার ক্বাযা আদায় করা মুস্তাহাব। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খানা প্রস্ত্তত করলাম। অতঃপর তিনি এবং তাঁর ছাহাবীগণ আসলেন। যখন খানা পেশ করলাম তখন তাদের মধ্য হ’তে একজন ছাহাবী বললেন, আমি ছায়েম। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমাদের ভাই পরিশ্রম করে খাবার প্রস্ত্তত করেছে এবং দাওয়াত দিয়েছে। অতএব তুমি ছিয়াম ছেড়ে দাও এবং চাইলে তার স্থানে অন্যদিনে ক্বাযা আদায় করে নিয়ো’ (বায়হাক্বী, ইরওয়াউল গালীল হা/১৯৫২, সনদ হাসান)। একদিন রাসূল (ছাঃ) একটি পাত্র থেকে কিছু পান করে বাকী অংশ উম্মে হানীকে দিলেন। অতঃপর তিনি তা থেকে পান করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো পান করলাম, কিন্তু আমি যে ছায়েম ছিলাম! রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার কোন ক্ষতি নেই, যদি তা নফল ছিয়াম হয় (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২০৭৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৫৪)।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বললেন, নফল ছায়েম নিজের উপর ‘আমীর’ অর্থাৎ কর্তৃত্বশীল। চাইলে রাখতে পারে, চাইলে ভাঙতে পারে’ (হাকেম, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৫৪)। উল্লেখ্য, নফল ছিয়াম ভেঙ্গে ফেললে ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/২৪৫৭; যঈফাহ হা/৫২০২)।