উত্তর :
হুসাইন বিন মানছূর বিন মাহমা আল-হাল্লাজ (২৪৪-৩০৯ হিঃ/৮৪৮-৯২২ খৃঃ) ইরানের
বায়যা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। ওয়াসিত্বে বড় হন। পরে বাগদাদে চলে আসেন।
তিনি ভারতে যান ও সেখানে জাদু বিদ্যা শিখেন। বাগদাদে ফিরে তিনি প্রথমে
‘নবী’ দাবী করেন। অতঃপর সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার অবস্থান সংক্রান্ত
অদ্বৈতবাদী দর্শনের প্রচার শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে নিজেকে ‘আনাল হক্ব’
(أنا الحق) বলে ‘আল্লাহ’ দাবী করেন। তাকে কারাদন্ড দেওয়া হয়। কিন্তু
সেখানেও কয়েদীদের মধ্যে এই কুফরী আক্বীদা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ফলে খলীফা
মুক্বতাদির বিল্লাহ্র সময়ে (২৯৫-৩২০হিঃ/৯০৭-৯৩২খৃঃ) দেশের সর্বোচ্চ
বিদ্বানমন্ডলীর মতামত ও বিচারকদের রায়ে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। এভাবে ৯
বছর বিভিন্ন কারাগারে বন্দী থাকার পর ৩০৯ হিজরীর ৯ই যুলক্বা‘দাহ মঙ্গলবার
প্রকাশ্যে তার হাত-পা ও মাথা কেটে ব্রীজের উপর ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং দেহকে
আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় (আল-বিদায়াহ ১১/১৪১-১৫৪; ডঃ আমিনুল ইসলাম, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম দর্শন পৃঃ ১২২-১২৩)।