উত্তর :
কুরআনে ‘ইরাম’ বলে سِبْط إرم অর্থাৎ ইরামের নিকটতম অধঃস্তন পুরুষদের
বুঝানো হয়েছে। সূরা ফজর ৭-এর عاد إرم-কে অন্য সূরায় عاد الأولى অর্থাৎ
প্রথম ‘আদ সম্প্রদায় বলা হয়েছে (নাজম ৫৩/৫০)। যারা পরবর্তী ‘আদ সম্প্রদায় থেকে আলাদা।
আল্লাহর গযবে ধ্বংসপ্রাপ্ত বিশ্বের প্রধান ছয়টি জাতির মধ্যে কওমে নূহ-এর পরে কওমে ‘আদ ছিল দ্বিতীয় জাতি। হূদ (আঃ) ছিলেন এদেরই নবী ও বংশধর। ‘আদ ও ছামূদ ছিল নূহ (আঃ)-এর পুত্র সামের বংশধর এবং নূহের পঞ্চম অথবা অষ্টম অধঃস্তন পুরুষ। ইরামপুত্র ‘আদ-এর বংশধরগণ ‘আদ ঊলা’ বা প্রথম ‘আদ এবং অপর পুত্রের সন্তান ছামূদ-এর বংশধরগণ ‘আদ ছানী বা দ্বিতীয় ‘আদ বলে খ্যাত (ইবনু কাছীর, সূরা আ‘রাফ ৬৫, ৭৩)। ‘ছামূদ’ জাতির নবী ছিলেন ছালেহ (অঃ)। ‘আদ ও ছামূদ উভয় গোত্রই ইরাম-এর দু’টি শাখা। সেকারণ ‘ইরাম’ কথাটি ‘আদ ও ছামূদ উভয় গোত্রের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। এজন্য কুরআনে কোথাও ‘আদ ঊলা’ (নাজম ৫০) এবং কোথাও ‘ইরাম যাতিল ‘ইমাদ’ (ফজর ৭) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে (বিস্তারিত দেখুন : তাফসীরুল কুরআন ৩০ তম পারা, তাফসীর সূরা ফজর ৭ আয়াত)।