উত্তর : যাবে। হযরত ওমর, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ, আনাস, আবু হুরায়রা (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবী থেকে কুনূতে বুক বরাবর হাত উঠিয়ে দো‘আ করা প্রমাণিত আছে। মুহাদ্দিছগণ এর দ্বারা কুনূতে বিতর বুঝেছেন (বায়হাক্বী ২/২১১-১২, মির‘আত ৪/৩০০; তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৫৬৭, ইরওয়াউল গালীল ২/১৮১)। তাবেঈ বিদ্বান আব্দুল্লাহ বিন মুবারক বিতর ছালাতে হাত উঠাতেন এবং দো‘আ করতেন (বায়হাকী, আস-সুনানুল কুবরা হা/৩১৫২)। ইবরাহীম নাখঈ বিতরের কুনূতে হাত উঠিয়ে দো‘আ করতেন (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৫০০১)। ইমাম আহমাদকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, কুনূতে নাযেলার উপর ক্বিয়াস করে কুনূতে রাতেবাতেও হাত উঠিয়ে দো‘আ করা যায় (মারওয়াযী, মুখতাছার কিয়ামুল লায়ল ১/৩১৮)। শায়খ বিন বায বলেন, বিতরের কুনূতে হাত উত্তোলন করা শরী‘আত সম্মত। কেননা তা কুনূতে নাযেলার মতই (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩০/৫১)। উছায়মীন বলেন, ওমর (রাঃ) হ’তে ছহীহ সূত্রে বিতরের ছালাতে হাত উঠানোর বর্ণনা রয়েছে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/৮১)। ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) বলেন, বিতরের কুনূতের সময় দু’হাতের তালু আসমানের দিকে বুক বরাবর উঁচু থাকবে। ইমাম ত্বাহাবী ও ইমাম কারখীও এটাকে পসন্দ করেছেন (মির‘আত ২/২১৯; ঐ, ৪/৩০০ পৃঃ)।