উত্তর : এটি
বলা যাবে এবং এটি শিরক নয়। কেননা ‘মাওলা’ অর্থ কেবল ‘প্রভু’ বা ‘উপাস্য’
নয়। বরং মাওলা অর্থ বন্ধু, সুহৃদ, অভিভাবক, নেতা, গোলাম ইত্যাদি হয়ে থাকে।
যা আরবী ভাষায় বহুল প্রচলিত। ‘মাওলানা’ শব্দটির মাদ্দাহ ولي পবিত্র কুরআনে
প্রায় ১০টি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন প্রভূ (ইউনুস ৩০), সন্তান (মারিয়াম ৫), সাথী, বন্ধু (কাহফ ১৭), নিকটজন (দুখান ৪১), সাহায্যকারী (মুহাম্মাদ ১১), শরীক ইলাহ সমূহ (যুমার ৩), উত্তরাধিকারী (নিসা ৩৩), দ্বীনী বন্ধু (তওবা ৭১), আযাদকৃত দাস (আহযাব ৫)
ইত্যাদি। এটি আল্লাহর গুণবাচক নামের অন্তর্ভুক্ত নয়। পবিত্র কুরআনে এটি
গুণবাচক নাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়নি। অতএব কোন দ্বীনী আলেমকে এ শব্দ দিয়ে
সম্বোধন করা আপত্তিকর নয়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা কেউ বলোনা
যে, আমার রবকে খাওয়াও ও পান করাও। বরং বল যে, আমার নেতা ও অভিভাবককে (سيدى
ومولايَ) খাওয়াও’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৬০)। রাসূল (ছাঃ) তাঁর গোলাম যায়েদ বিন হারেছাহকে أنت أخونا ومولانا ‘তুমি আমার ভাই ও গোলাম’ বলেছেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৩৭৭)।
কোন সম্মানী ব্যক্তির জন্য ‘মাওলানা’ বলার ব্যাপারে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন
মতভেদ নেই। তবে কোন ব্যক্তির জন্য নিজের পরিচয় দানে এই শব্দ ব্যবহার করা
অর্থগতভাবে ভুল এবং ক্ষেত্রবিশেষে আত্মপ্রশংসার নামান্তর। অতএব নিজের আসল
নামের সাথে এ শব্দটি যুক্ত করা ঠিক হবে না।