উত্তর : স্বামীর আনুগত্য করা ফরয এবং অবাধ্য হওয়া হারাম। যে নারী দুনিয়ায় স্বামীর অবাধ্য হবে সে যেমন দুনিয়ায় আল্লাহ, ফেরেশতা এবং হুরে আইনের লা‘নত বা অভিশাপপ্রাপ্ত হবে তেমনি পরকালে জাহান্নামে যাবে। পিতার বাড়ি যেতে হ’লে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। আয়েশা (রাঃ) পিতার বাড়িতে যাওয়ার সময় অনুমতি প্রার্থনা করে বলেন, আপনি কি আমাকে আমার আববা-আম্মার নিকট যেতে অনুমতি দিবেন? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে অনুমতি দিলেন। আমি পিতা-মাতার কাছে চলে গেলাম (বুখারী হা/৪১৪১; মুসলিম হা/২৭৭০)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন স্ত্রী তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দেয় (অর্থাৎ অশ্রদ্ধা, অবাধ্যতা ইত্যাদির মাধ্যমে), তখন উক্ত স্বামীর জান্নাতের রমণীগণ (হূরেরা) বলতে থাকে, তুমি তাকে কষ্ট দিয়ো না, (যদি কর) তবে আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করবেন। তিনি তোমার নিকট (কিছু সময়ের) মেহমান, শীঘ্রই তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবেন (তিরমিযী হা/১১৭৪; মিশকাত হা/৩২৫৮; ছহীহুত তারগীব হা/১৫৪৫)। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা সেই মহিলার প্রতি তাকাবেন না, যে তার স্বামীর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না; অথচ সে তার মুখাপেক্ষী’ (ছহীহুত তারগীব হা/১৯৪৪)। তিনি আরো বলেন, ‘মহিলা যদি স্বামীর হক (যথার্থরূপে) জানত, তাহ’লে তার দুপুর অথবা রাতের খাবার খেয়ে শেষ না করা পর্যন্ত সে (তার পাশে) দাঁড়িয়ে থাকত’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৫২৫৫)

হুছাইন বিন মিহছানের এক ফুফু নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট কোন প্রয়োজনে এলে এবং তা পূরণ হয়ে গেলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? সে বলল, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার কাছে তোমার অবস্থান কি? সে বলল, যথাসাধ্য আমি তার সেবা করি। তিনি বললেন, খেয়াল কর, তার কাছে তোমার অবস্থান কোথায়। কারণ সে তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম (আহমাদ হা/১৯০২৫, সনদ হাসান)। রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, কোন মহিলা তার প্রতিপালকের (আল্লাহর) হক ততক্ষণ আদায় করতে পারে না; যতক্ষণ না সে তার স্বামীর হক (অধিকার) আদায় করতে পেরেছে (ছহীহুত তারগীব হা/১৯৪৩)। অতএব নারীদের জন্য স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য করা আবশ্যক।

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী।








বিষয়সমূহ: বিবাহ ও তালাক
প্রশ্ন (২২/১৪২) : মাওলানা ইলিয়াস ছাহেব লিখিত মালফূযাত গ্রন্থের ২৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে যে, ‘যাকাতের দরজা হাদিয়ার নিম্নে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর ছাদাক্বা হারাম ছিল, হাদিয়া হারাম ছিল না।’ এর সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৭/৩৩৭) : আমার আপন ভাইয়ের মেয়েকে জনৈকা মহিলা দুধ পান করিয়েছে। এক্ষণে আমি কি ঐ মহিলার মেয়েকে বিয়ে করতে পারব?
প্রশ্ন (২১/২২১) : ছগীরা গুনাহ কাকে বলে? কয়েকটি ছগীরা গুনাহের উদাহরণ দিলে উপকৃত হব। - -নাসীম, বখশী বাযার, ঢাকা।
প্রশ্নঃ (৩/২৪৩) : আমি জনৈক ব্যক্তির কর্মচারী। তিনি আমাকে কিছু যাকাতের টাকা দেন এলাকায় বণ্টন করার জন্য। কিন্তু আমি নিজেকে এ সম্পদের হক্বদার মনে করে আমার জন্য কিছু রেখে দেই। এতে কি আমি গোনাহগার হব?
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : শারঈ বিধান অনুযায়ী ব্যভিচারের শাস্তির দাবীর ক্ষেত্রে ৪ জন সাক্ষী প্রয়োজন হয়। কিন্তু যদি ভিডিও ফুটেজ থাকে, তাহ’লে এই একটি সাক্ষ্য থাকলেই কি তা শাস্তির জন্য যথেষ্ট হবে?
প্রশ্ন (৪০/৪০) : আমরা পারিবারিকভাবে ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়িত। এ ব্যবসায় নিয়মিত ও বাধ্যগতভাবে অফিসকে ঘুষ দিতে হয়। অন্যথা হলে বিল আটকে দেয়। এ ব্যবসা করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : মানুষের দেহ থেকে রক্ত বের হয়ে তা তার দেহে বা কাপড়ে কিছুটা লাগলে ছালাত হবে কি? এছাড়া রক্ত বের হ’লে ওযূ ভঙ্গ হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৪১৫) : হজ্জ ফরয হওয়া সত্ত্বেও নানা কারণে হজ্জ পালন না করেই মারা গেলে গুনাহগার হ’তে হবে কি? - হাবীবুল্লাহ, আত্রাই, নওগাঁ।
প্রশ্নঃ (১০/৫০) : জনৈক আলেম বলেন, মুতার যুদ্ধে আবূবকর (রাঃ) তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করার কারণে তার স্ত্রী খেজুর পাতার পোষাক পরেছিলেন। তার সম্মানে আসমান যমীনের সমস্ত ফেরেশতা খেজুর পাতার পোষাক পরেছিলেন। উক্ত ঘটনা কি সত্য?
প্রশ্ন (৭/২৮৭) : ঈদের ছালাতে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৮/৯৮) : সাংগঠনিক নিয়মে আমাকে ইহতিসাব রাখতে হয় এবং উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলকে দেখাতে হয়। এটি কি রিয়া তথা লোক দেখানো আমলের অন্তর্ভুক্ত হবে? - -মুজাহিদুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (১৪/৫৪) : নানার বাড়ীতে থাকার সময় রাতে কান্নাকাটি করলে নানী আমার কান্না থামানোর জন্য বয়সের কারণে বুকে দুধ না থাকা সত্ত্বেও স্তন্যদান করতেন। তিনি নিশ্চিত যে আমি সেখান থেকে কিছু গলধঃকরণ করিনি। এক্ষণে আমি মামার দুধ ভাই হিসাবে গণ্য হব কি?
আরও
আরও
.