উত্তর : ধর্ষণের শাস্তি ও যেনা বা ব্যভিচারের শাস্তির মধ্যে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। যেনা বা ব্যভিচারে লিপ্ত হ’লে তার শাস্তি বিবাহিত পুরুষ ও নারীর জন্য প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদন্ড ও অবিবাহিতদের জন্য একশ’ বেত্রাঘাত ও এক বছর নির্বাসন (নূর ২৪/০২; বুখারী হা/৪৯৬৯; মুসলিম হা/১৬৯১; মিশকাত হা/৩৫৫৫)। আর বিবাহিত ও অবিবাহিত ধর্ষকের জন্য যথাক্রমে প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদন্ড ও  একশ’ বেত্রাঘাতের সাথে একদল বিদ্বান মিছলে মোহর তথা উক্ত নারীর সামাজিক অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ  মোহর জরিমানা  হিসাবে  যুক্ত করেছেন (আবূদাউদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৫৭২; মুওয়াত্তা মালেক হা/১৪, ২/৭৩৪; আল-মুনতাকা শারহুল মুওয়াত্তা ৫/২৬৮-৬৯; ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তিযকার ৭/১৪৬)। আর যদি অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয় বা হত্যার উদ্দেশ্যে শারিরীকভাবে আঘাত করা হয় বা হত্যা করা হয়, তাহ’লে সেটি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল, যার শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং জনপদে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে, তাদের শাস্তি এটাই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটা তাদের জন্য দুনিয়াবী লাঞ্ছনা। আর আখেরাতে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি’ (মায়েদাহ ৫/৩৩)। সেক্ষেত্রে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আদালত উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারণ করবে। উল্লেখ্য যে, ধর্ষণের শিকার নারীর কোন শাস্তি হবে না (মিশকাত হা/৩৫৭২সনদ ছহীহ)। তবে সে যে মূলত ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে ব্যাপারে প্রমাণ থাকতে হবে। যেমন চিৎকার করা, প্রশাসনকে অবহিত করা বা নিজেকে হেফাযতের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার ব্যাপারে কোন প্রমাণ থাকা (আব্দিল বার্র, আল-ইস্তিযকার ৭/১৪৬)

প্রশ্নকারী : আবুল কালাম, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।






প্রশ্ন (২৬/৬৬) : জনৈক আলেম বলেন, বিদায়কালে মুছাফাহা করতে হবে না, কেবল সালাম দিতে হবে। কারণ মুছাফাহা করার হাদীছ যঈফ। এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান জানতে চাই। - -রবীউল ইসলামনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) : স্বপ্নদোষের কারণে বিছানায় বীর্য পড়লে তা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা আবশ্যক কি? না মুছে ফেললেই যথেষ্ট হবে?
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : কুরআন হেফয করার পর মুখস্থ না রাখতে পারলে গোনাহগার হবে। একথা কি ঠিক?
প্রশ্ন (২১/১৮১) : সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে পিতা না মাতার সিদ্ধান্ত অগ্রাধিকার পাবে?
প্রশ্ন (১০/২১০) : আমরা জানি পবিত্র কুরআনের আয়াত সংখ্যা ৬,৬৬৬টি। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত কুরআন মজীদের আয়াত সংখ্যা ৬,২৩৬টি। কোনটি সঠিক?
প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : কোন ব্যক্তির হঠাৎ মৃত্যু হ’লে কী দো‘আ পড়তে হবে? মৃত ব্যক্তির নাম লিখে কবরে ঝুলিয়ে রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৩৩) : ঈদ ও তারাবীহ্র ছালাতে এক ব্যক্তি দু’বার দুই জায়গায় ইমামতি করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (২২/৪৬২) : আমার এক আত্মীয় মারা যাওয়ার সময় এমন এক অছিয়ত করে গেছেন, যা পূরণ করতে তার রেখে যাওয়া সব সম্পদ লাগবে। এমতাবস্থায় করণীয় কী?
প্রশ্ন (১/২০১) : আমরা শুনেছি যে, পবিত্র কুরআনে নাকি নারী-পুরুষ আল্লাহর নিকট সমান এ কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে হাদীছে পিতার চেয়ে মাতার অধিকার বেশী বলা হয়েছে। কিন্তু আক্বীক্বার ক্ষেত্রে দেখা যায় তার উল্টো। অর্থাৎ ছেলের জন্য ২টি আক্বীক্বা, আর মেয়ের জন্য ১টি। এখানে কার অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হ’ল?
প্রশ্ন (৫/২০৫) : যঈফ হাদীছ তো সন্দেহযুক্ত। তাই যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে না। কিন্তু ইমাম তিরমিযী, আবুদাঊদ প্রমুখ তাদের স্ব স্ব গ্রন্থে যঈফ হাদীছ উল্লেখ করেছেন। কেউ যদি তা দেখে যঈফ হাদীছের উপর আমল করে তবে দায়ী কে হবে? কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যায়?
প্রশ্ন ২১/২২১) : ছালাতুত তাসবীহ পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/১৩১) : মহিষ দ্বারা কুরবানী করা যাবে কি?
আরও
আরও
.