উত্তর : হাদীছটিতে বলা হয়েছে যে, একদা রাসূল (ছাঃ)  ইবনু আববাসকে বললেন, যাও, মু‘আবিয়াকে আমার কাছে ডেকে আনো। তিনি ডাকতে গেলেন এবং ঘুরে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল তিনি খাচ্ছেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তাকে পুনরায় পাঠালে তিনি এসে একই কথা বললেন। তখন রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ যেন তার পেট ভর্তি না করেন (মুসলিম হা/২৬০৪)। হাদীছটি ছহীহ। তবে উক্ত বাক্যটি মু‘আবিয়ার বিরুদ্ধে বদদো‘আ ছিল না, বরং দো‘আ ছিল। আলবানী বলেন, এটি  সংকল্পহীন দো‘আ। যা আরবরা তাদের বাকরীতি অনুযায়ী উদ্দেশ্য ছাড়াই বাক্যের সাথে ব্যবহার করে থাকে’ (ছহীহাহ হা/৮২-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)

অপর এক হাদীছে এসেছে, একবার রাসূল (ছাঃ) উম্মু সুলাইম (রাঃ)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন এক ইয়াতীম বালিকাকে দেখে বলেন, তোমার বয়স আর বৃদ্ধি না হৌক। তখন সে উম্মু সুলাইমের নিকট অভিযোগ করলে তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আসেন এবং তিনি মেয়েটির উপর বদদো‘আ করার কারণ জিজ্ঞেস করেন। তখন রাসূল (ছাঃ) মুচকি হেসে বলেন, তুমি কি জান না যে, আমার প্রতিপালকের সঙ্গে এই মর্মে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি এবং আমি বলেছি যে, আমি তো একজন মানুষ। মানুষ যেমন সন্তুষ্ট হয়, আমিও তেমন হই। মানুষ যেমন রাগান্বিত হয়, আমিও তেমনি হই।  আমিও অসন্তুষ্ট হই, যেভাবে মানুষ হয়ে থাকে। সুতরাং আমি আমার উম্মতের কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দো‘আ করলে, সে যদি তার যোগ্য না হয় তাহ’লে তা তার জন্য পবিত্রতা, আত্মশুদ্ধি ও নৈকট্য লাভের মাধ্যম বানিয়ে দিবেন (মুসলিম হা/২৬০৩; ছহীহাহ হা/৮৩-৮৪-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তিনি মানুষ নবী ছিলেন, নূরের নবী নন।

আর দ্বিতীয় বর্ণনাটি বাতিল। এটি রাফেযী শী‘আদের বানানো মিথ্যা কাহিনী মাত্র (মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৯২৪৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ ৪/৪৪৩-৪৪৪)






প্রশ্ন (১২/১৭২) : ছালাতের দুই সালামের মাঝে কোন দো‘আ পাঠ করতে হয় কি? - -শরীফ আলম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (২/১৬২) : মা সহ পরিবারের সদস্যগণ দ্বীনের বিধান পালনে দারুণভাবে উদাসীন। মাকে ছালাতের কথা বললেই বিরক্ত হন। এক্ষণে তাদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করার পদ্ধতি কি?
প্রশ্ন (২৬/২২৬) : মুসলমান নারী-পুরষের নামের পূর্বে ‘মুহাম্মাদ’ ও ‘মুসাম্মাৎ’ লেখা হয় কেন? এটি শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) : আমার স্ত্রী নিজের ইচ্ছামত পর্দা করে। মাহরাম, গায়ের-মাহরামের ব্যাপারে কোন সাবধানতা অবলম্বন করে না। এ ব্যাপারে শারঈ বিধান বুঝাতে গেলে পরিবারে নানা অশান্তি সৃষ্টি করে। এক্ষণে শান্তি বজায় রাখার জন্য তাকে তার মত চলতে দিলে আমাকে দাইয়ূছ হিসাবে গোনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৪৫৫) : মসজিদের লাশবাহী কাঠের খাটিয়া পুরাতন হয়ে গেলে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে না জ্বালানী হিসাবে বিক্রি করে মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করা যাবে?
প্রশ্ন (৯/১২৯) : আমি একটি হজ্জ এজেন্সীতে চাকুরী করি। এরা ব্যাংকে ঋণ নিয়ে হজ্জ ব্যবসা করে। অন্যদিকে হাজীদের সাথে চুক্তি ঠিক রাখে না। এরূপ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা জায়েয হবে কি? - -মাহবূব, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : আমাদের বিবাহের সময় অফিসের সহকর্মীদের উপস্থিতিতে নিজেরাই পসন্দ অনুযায়ী বিবাহ করি। পরবর্তীতে উভয় পরিবার এটি মেনে নিয়েছে এবং আমাদের দু’টি সন্তান রয়েছে ১২ ও ৭ বছর বয়সের। সেসময় শরী‘আতের বিধান সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা ছিল না। আমাদের বিবাহ কি সঠিক হয়েছিল? না হ’লে আমাদের করণীয় কি? - -আব্দুস সালাম, ঢাকা।
প্রশ্ন (৮/৪০৮) : যে ব্যক্তি ছিয়াম না রেখে ইফতার করে সে কি ছিয়ামের নেকী পায়? ঢাকায় অনেকে এভাবে শুধু ইফতার করে। এক ইমামকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, এ ধরনের ব্যক্তি ইফতারে শরীক হলে ছিয়ামের নেকী পাবে। উক্ত জবাব কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৮/৩০৮) : প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘আক্বীদা ইসলামিয়াহ’ এবং মক্কার আল-কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আহমাদ রচিত ‘সহজ আক্বীদা বা ইসলামের মূল বিশ্বাস’ বই পড়ে জানলাম আল্লাহর কথার বর্ণ ও শব্দ আছে, যা কানে শোনা যায়। অথচ ‘ফিক্বহুল আকবারে’ লেখা আছে, ‘উপকরণ ও বর্ণ ছাড়াই আল্লাহ পাক কথা বলেন’। কোনটি সঠিক? এ ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা কী?
প্রশ্ন (১০/৪১০) : কবর দেওয়ার সময় তিন অঞ্জলী না তিন মুষ্ঠি মাটি দিতে হবে?
প্রশ্ন (২৮/৩৬৮) : ছিয়াম অবস্থায় অসুখের কারণে ডুস ব্যবহার করা যাবে কি? এছাড়া চোখ, কান ও নাকের ঔষধ ব্যবহার করা যাবে কি? - -আব্দুল গফূর, বাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১/১) : ব্যবসায় রিযিকের ১০ ভাগের ৯ ভাগ রয়েছে মর্মে প্রচলিত হাদীছটির সত্যতা আছে কি? - -হান্নান মিয়াইন্দিরা রোড, ঢাকা।
আরও
আরও
.