
উত্তর : ছালাতান্তে বক্তব্য প্রদানকালে মাসবূকের বিষয়টি খেয়াল রাখা কর্তব্য। কারণ এতে ফরয ছালাত আদায়রত মুছল্লীদের ছালাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে, যা অনুচিৎ। একদা রাসূল (ছাঃ) মসজিদে ই‘তিকাফকালে ছাহাবীদেরকে উচ্চ স্বরে ক্বিরাআত করতে শুনে পর্দা উঠিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখ! তোমরা প্রত্যেকেই তোমাদের রবের সাথে গোপনে আলাপরত আছ। অতএব তোমরা (উচ্চ স্বরে তেলাওয়াত দ্বারা) একে অন্যকে কষ্ট দিয়ো না’ (আবুদাউদ হা/১৩৩২; ছহীহাহ হা/১৫৯৭)। অন্যত্র তিনি বলেন, হে লোক সকল! তোমাদের প্রত্যেকেই তার রবের সাথে মুনাজাত করে। অতএব একজন অন্যজনের চেয়ে তেলাওয়াতে জোরে আওয়ায করে যেন মুমিনদের কষ্ট না দেয়া (ছহীহাহ হা/৩৪০০)। এজন্য ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলতেন, ইমাম ও মুক্তাদীর জন্য আবশ্যক হচ্ছে সালাম শেষে যিকিরগুলো নীরবে পাঠ করা। তবে এক দিন শিক্ষা দেওয়ার জন্য সামান্য জোরে পাঠ করার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি তোমার ছালাতের ক্বিরাআতে স্বর অধিক উঁচু করো না বা একেবারে নীচু করো না। বরং দু’য়ের মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন কর (ইসরা ১৭/১১০)। অতএব মাসবূকের ছালাত শেষ হ’লে ইমাম প্রয়োজনীয় কথা বলতে বা বক্তব্য দিতে পারেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) দিতেন (বুখারী হা/৮৪৬; মুসলিম হা/৪২৬; মিশকাত হা/৪৫৯৬)।
প্রশ্নকারী : আমানুল্লাহ, ডালাস, টেক্সাস, আমেরিকা।