উত্তর :
কুরআন আল্লাহর কালাম। এর আয়াতসমূহের বিন্যাস ও সূরা সমূহের নামকরণ সবই
আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, হযরত ওছমান
(রাঃ) বলেছেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর কোন আয়াত নাযিল হ’ত, তখন
তিনি অহী-লেখক কাউকে ডেকে বলতেন, এই আয়াতটি অমুক সূরার মধ্যে অমুক স্থানে
রাখো। সূরা আনফাল প্রথম দিককার মাদানী সূরা এবং সূরা তওবা শেষের দিককার
মাদানী সূরা। দু’টি সূরার বিষয়বস্ত্ত প্রায় একই। সেজন্য সূরা দু’টিকে আমি
পাশাপাশি রেখেছি। কিন্তু তিনি বলেননি যে, এটি ওটার অন্তর্ভুক্ত। সেজন্য আমি
দু’টি সূরার মাঝে বিসমিল্লাহ.. লিখিনি’ (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২২২২ ‘কুরআনের ফযীলত সমূহ’ অধ্যায়)।
এতে বুঝা যায় যে, কুরআনের বিন্যাস আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। জিবরীল (আঃ)
প্রতিবছর রামাযানে রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এসে কুরআন পাঠ করতেন এবং তাঁর
মৃত্যুর বছরে দু’বার পাঠ করে শুনান (বুখারী হা/৪৯৯৭, ৪৯৯৮)। এখান থেকেও বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
সূরা সমূহের নামকরণের বিষয়টি রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক সম্পাদিত না হ’লে নামকরণ নিয়ে ছাহাবায়ে কেরামের মধ্যে মতবিরোধ হ’ত। কিন্তু তা হয়নি। অতএব কুরআনের এই বিন্যাস ও নামকরণের ব্যাপারে ইজমায়ে ছাহাবাও অন্যতম প্রধান দলীল।