উত্তর : আল্লাহর নাম বা আয়াত বিশিষ্ট বই-পত্র বা পুরাতন কাগজগুলো পুড়িয়ে ফেলা জায়েয। বরং পদদলিত বা অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সেগুলো দ্রুত পুড়িয়ে ফেলাই কর্তব্য। ওছমান (রাঃ) কুরআন সংকলন করার পর ছিন্ন কপিগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন (বুখারী হা/৪৯৮৭; মিশকাত হা/২২২১)। ইবনু বাত্ত্বাল (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীছে পুরাতন কাগজে আল্লাহর নাম লিখা বই পুড়িয়ে ফেলা জায়েযের দলীল রয়েছে। আর এটা কুরআনের সম্মানের জন্য। এটিকে মানুষের পদদলিত হওয়া থেকে হেফাযতের জন্য (শারহুল বুখারী ১০/২২৬; ফাৎহুল বারী ৯/২১)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, সামগ্রিক কল্যাণের জন্য কুরআনের ছিন্ন অংশ পুড়িয়ে ফেলা জায়েয। যেমন ওছমান (রাঃ) গভর্নরদের নির্দেশ দিয়েছিলেন (শরহ মুসলিম ১৭/১০১)। শায়খ উছায়মীন (রহঃ) বলেন, মুছহাফের ছিন্ন অংশ যখন তা দ্বারা উপকৃত হওয়া যাবে না, তখন তা পুড়িয়ে ফেলা জায়েয এবং এতে কোন দোষ নেই। কারণ ওছমান (রাঃ) তা করেছিলেন (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৫/২)।
প্রশ্নকারী : আখতার হুসাইন, গাযীপুর, ঢাকা।