উত্তর :  মোহর বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ (নিসা ৪/৪)। আর বিবাহের মোহর স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ প্রদান করাই উত্তম। তবে কারো নগদ অর্থ না থাকলে পরে দিতে পারে। এমনকি বিবাহের পূর্বে মোহর নির্ধারণ না করেই বিবাহ সম্পন্ন করতে পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ) একজন ব্যক্তিকে বললেন, অমুক মহিলার সাথে তোমাকে বিবাহ দিব তুমি কি রাযী? সে বলল, হ্যাঁ। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, অমুক ব্যক্তির সাথে তোমাকে বিবাহ দিব তুমি কি রাযী? মহিলা বলল, হ্যাঁ। তিনি তাদের বিবাহ দিলেন। কিন্তু কোন মোহর নির্ধারণ করলেন না এবং মহিলাকে কিছু দিলেন না। ঐ ব্যক্তি হোদায়বিয়ার ছাহাবী ছিলেন। পরে তিনি খায়বারের গণীমতের অংশ পান। এ সময় তাঁর মৃত্যু উপস্থিত হ’লে তিনি বলেন, স্ত্রীর জন্য আমার কোন মোহর নির্ধারিত ছিল না। এক্ষণে আমি আমার খায়বারের প্রাপ্ত অংশ তাকে মোহর হিসাবে দান করলাম। যার মূল্য ছিল এক লক্ষ দেরহাম’ (হাকেম হা/২৭৪২; আবূদাঊদ হা/২১১৭; ইরওয়া হা/১৯৪০, সনদ ছহীহ)। নবী করীম (ছাঃ) একদা মোহর বাকী রেখে এক ব্যক্তির বিবাহ দেন এবং কুরআন শিক্ষাদানের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তা আদায় করতে বলেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩২০২)। আর মোহর না দেওয়ার নিয়ত করে থাকলে তাকে যেনাকারীর কাতারে দাঁড়াতে হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মোহরের বিনিময়ে কোন মহিলাকে বিবাহ করল, অথচ মোহর পরিশোধ করবে না বলে নিয়ত করল, সে যেনাকারী’ (বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমান হা/৫৫৪৯; বাযযার হা/৮৭২১; ছহীহুত-তারগীব হা/১৮০৬, ছহীহ লিগায়রিহী)। বস্ত্ততঃ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে অধিক পরিমাণ মোহরানা ধার্য করা এবং পরে স্ত্রীর কাছে মাফ চাওয়া ধোঁকার শামিল। সেই সাথে সমাজে মৃত্যুর সময় স্ত্রীর নিকট থেকে মোহর মাফ করিয়ে নেওয়ার যে কুপ্রথা রয়েছে, তা চরম অন্যায় ও প্রতারণাপূর্ণ। এমন কর্ম থেকে মুমিনকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। অতএব কাছে অর্থ এলেই সর্বাগ্রে স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করতে হবে। আর মোহর আদায় না করলে দুনিয়া ও আখেরাতে স্ত্রীর নিকটে ঋণগ্রস্ত থাকতে হবে।






প্রশ্ন (১৪/৫৪) : আমাদের এলাকার ইমাম ছাহেব একই বৈঠকে জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করান। অতঃপর ঐ বৈঠকেই উক্ত মহিলাকে অপর এক পুরুষের সাথে বিবাহ দেন। উক্ত তালাক ও বিবাহ সঠিক হয়েছে কি? - -ডা. মনছূর আলীফুলতলা, পঞ্চগড়।
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : আমি যেখানে চাকুরী করি, সেই কোম্পানীরই ডরমেটরীতে থাকি। কোম্পানী করোনা ভাইরাসের জন্য বন্ধ করে দিলে বাড়ি যেতে পারব কি? এটা হাদীছ বিরোধী কাজ হবে কি? - -নক্বীব হোসাইন, সাহেব বাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৬/৩৯৬) : মসজিদের কিছু জমি সরকার অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। উক্ত টাকা কি জমি ওয়াকফকারী না মসজিদ কর্তৃপক্ষ পাবে? এটা দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন বা ইমাম-মুওয়াযযিনের বেতন দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : আমি আমার স্ত্রীকে তিন মাসে তিন তালাক দেই। পরে গ্রাম্য সালিসে আমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এক্ষণে উক্ত স্ত্রীর সাথে আমার সংসার করা জায়েয হচ্ছে কি? - -আব্দুল্লাহ, ইসলামপুর, জামালপুর।
প্রশ্নঃ (৯/২৪৯) : মুনাজাতের সময় ‘ক্ষমা ভিক্ষা দাও’ এ ধরণের বাক্য বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/২৭৫) : জানাযা শেষ হওয়ার পর মাইয়েতের জন্য মসজিদে সম্মিলিতভাবে হাত না তুলে দো‘আ করায় শারঈ কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৩/২৬৩) : ফিৎরা অথবা কুরবানীর পশুর চামড়ার টাকা দিয়ে ঈদগাহে মহিলাদের ছালাতের ব্যবস্থা করার জন্য পর্দার কাপড় কেনা যাবে কি? তাছাড়া উক্ত টাকা দিয়ে বুখারী ও মুসলিম প্রভৃতি ইসলামী গ্রন্থ কিনে মসজিদের লাইব্রেরীতে রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : আমাদের এলাকার শতভাগ মানুষ প্রতিবেশীর ফসল ক্ষতি করে হাঁস-মুরগী চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এরূপ অন্যের ক্ষতি করে হাঁস-মুরগী পালন করে উপার্জন করা বৈধ হবে কি? - সাইফুল ইসলাম লাকসাম, কুমিল্লা।
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : আমি একজন ব্যবসায়ী। শারঈ বিধান অনুযায়ী আমি প্রতিটি পণ্যে কতভাগ লাভ করতে পারি? - -আহসানুল্লাহ, ফুলতলা, বগুড়া।
প্রশ্ন (৫/২০৫) : শিশুরা বিভিন্ন বিপদাপদে পতিত হ’লে যেমন উঁচু স্থান থেকে পড়ে গেলে ফেরেশতারা তাদের রক্ষা করে- এ কথার কোন সত্যতা আছে কি? - -আমীনুল ইসলাম, কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : রাশি গণনা করা ও তার প্রতি বিশ্বাস করা কি শরী‘আত সম্মত? গণকের দেওয়া আংটি বা পাথর ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৪৭৫) : কত বছর বয়সে প্রাপ্ত বয়স্ক ধরা হয়? কখন থেকে একজন ব্যক্তির পাপ লিপিবদ্ধ হয়?
আরও
আরও
.