উত্তর
: এই আক্বীদাহ যারা পোষণ করে তাদের পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে।
তবে বিকল্প মসজিদ বা ইমামের পিছনে ছালাত আদায়ের সুযোগ থাকলে সেখানে ছালাত
আদায় করাই উত্তম (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৮০-৮১, ৭/৫০৭,
২৩/২৫৬; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১৪/৩৩; আলবানী, তাখরীজুত
তাহাবিয়াহ ১/৬৭; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১/৭)। উল্লেখ্য যে, ‘আল্লাহ সর্বত্র
বিরাজমান’ এধরনের আক্বীদা বাতিল। আল্লাহর সত্তা সর্বত্র বিরাজমান নয়। বরং
তাঁর ইল্ম ও কুদরত অর্থাৎ জ্ঞান ও ক্ষমতা সর্বত্র বিরাজমান (ত্বোয়া-হা ২০/৪৬)। তিনি সপ্তম আসমানের উপরে আরশে সমুন্নীত (আল-আ‘রাফ
৭/৫৪; ইউনুস ১০/৩; রা‘দ ১৩/২; ত্বোয়াহা ২০/৫; আল-ফুরক্বান ২৫/৫৯; সাজদাহ
৪; হাদীদ ৪; মুসলিম হা/৮৩৬, ‘মসজিদ’ অধ্যায়; মিশকাত হা/৩৩০৩)।
মু‘আত্ত্বিলাগণ ‘আরশে অবস্থান’ সম্পর্কিত সর্বমোট সাতটি আয়াতের অর্থ করেছেন
‘মালিক হওয়া’, কেউ করেছেন ‘আরশ সৃষ্টির ইচ্ছা করা’ ইত্যাদি। এইভাবে এঁরা
২৫ প্রকারের সম্ভাব্য অর্থ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে
পারেননি। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) এসবের প্রতিবাদে ৪২টি যুক্তি পেশ করেছেন (ইবনুল ক্বাইয়িম, মুখতাছার ছাওয়ায়েকুল মুরসালাহ ২/১২৬-১৫২)। ইমাম যাহাবী উক্ত আয়াত সমূহের ব্যাখ্যায় ৯৬টি হাদীছ, ২০টি আছার ও আহলে সুন্নাত বিদ্বানগণের ১৬৮টি বক্তব্য সংকলন করেছেন (যাহাবী, ‘মুখ্তাছারুল ‘উলু’)।
মূলতঃ তাদের কল্পিত উক্ত অর্থগুলো রূপক। আর আল্লাহর ছিফাতের বিষয়ে বর্ণিত আয়াতের এরূপ রূপক ও কাল্পনিক অর্থ করা অন্যায়। তাই এ সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের জওয়াবে ইমাম মালিক বিন আনাস (রহঃ) বলেছিলেন, ‘সমুন্নীত’ শব্দের অর্থ সুবিদিত, কিভাবে সেটা অবিদিত, এর উপরে ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা বিদ‘আত’ (ইমাম লালকাঈ, ‘উছূলু ই‘তিক্বাদ’ ৩/৩৮৭ টীকা-২; শাহরাস্তানী, ‘আল-মিলাল’ ১/৯৩; দ্রঃ থিসিস পৃঃ ১১৫-১১৭।