কাশ্ফ অর্থ উন্মুক্ত করা। আল্লাহ কর্তৃক তার কোন বান্দার নিকট অহী মারফত এমন কিছুর জ্ঞান প্রকাশ করা, যা অন্যের নিকট অপ্রকাশিত। আর এটি কেবল নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (জুরজানী, কিতাবুত তা‘রিফাত ৩৪ পৃঃ)। তবে কখনও কখনও রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য কারু নিকটে প্রকাশিত হ’তে পারে বা অলৈাকিক কিছু ঘটতে পারে। যেমন ছাহাবীগণ থেকে হয়েছে। এটাকে ‘কারামত’ বলা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ্ তাকে এর দ্বারা সম্মানিত করেন। যেমন ওমর (রাঃ) প্রায় ১ মাস দূরত্বে থাকা সৈন্যদলের অবস্থান সম্পর্কে অনুধাবন করে তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন (মিশকাত হা/৫৯৫৪, সনদ হাসান; ছহীহাহ হা/১১১০-এর আলোচনা)।
আর এরূপ কোন মুমিন থেকেও প্রকাশিত হ’তে পারে। তবে কারামাত বা ইলহাম শরী‘আতের কোন দলীল নয় এবং আল্লাহ্র অলী হওয়ার কোন প্রমাণ নয়। বস্ত্ততঃ মুসলমানদের জন্য অনুসরণীয় হ’ল কুরআন ও সুন্নাহ। অন্য কিছু নয় (আব্দুর রহমান, আল-ফিকরুছ ছূফী ফী যূইল কিতাবে ওয়াস সুন্নাহ ১/১৪৬; ত্বাবাকাতুছ ছূফী ১/৭৬)। আর কাশফের কোন আইনী বা শারঈ ভিত্তি নেই।