উত্তর : ওয়ারিছগণ কে কতটুকু পাবে তা স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন (নিসা ৭, ১১)।
সুতরাং বণ্টনের ক্ষেত্রে উক্ত নীতির ভিত্তিতেই ভাগ করতে হবে। এক্ষেত্রে
মেয়েদেরকে অংশ না দেওয়া এবং ছেলেদের মধ্যে কমবেশী করা নিঃসন্দেহে কাবীরা
গুনাহ এবং তা হক বিনষ্টের শামিল। তারা ক্ষমা না করলেও আললাহ তা‘আলা উক্ত
পাপ ক্ষমা করবেন না। কিয়ামতের দিন পিতার নেকী থেকে নিয়ে সন্তানদের হক পূরণ
করে দেওয়া হবে। যদি তার নেকীতে না কুলায়, তাহ’লে সন্তানদের পাপসমূহ পিতার
আমলনামায় যোগ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (বুখারী হা/২৪৪৯, মিশকাত হা/৫১২৬-২৭)।
এক্ষণে উক্ত পিতার করণীয় হ’ল, সন্তানদেরকে বুঝিয়ে সকল সম্পদ ফেরত নেওয়া এবং শরী‘আত মোতাবেক তা বণ্টন করা। পিতার সদিচ্ছার পরেও যদি সন্তানগণ ফিরিয়ে দিতে রাযী না হয়, তাহ’লে তারাও কঠিন গোনাহগার হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কারো এক বিঘত পরিমাণ যমীন যুলুম করে নেয়, ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় সাত তবক যমীন বেড়ী পরানো হবে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৯৩৮)। অন্য হাদীছে এসেছে, ক্বিয়ামতের দিন ঐ মাটির বোঝা তার গর্দানে চাপিয়ে দেওয়া হবে’ (আহমাদ, ছহীহাহ হা/২৪২)। কোন পথ না পেলে পিতা শরী‘আত মোতাবেক সম্পত্তি বণ্টন করে অছিয়ত নামা (উইল) লিখে যাবেন। এর মাধ্যমে পিতা তার পাপ থেকে বাঁচতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
-ছানাউল্লাহ, মচমইল, বাগমারা, রাজশাহী।