উত্তর : অত্র আয়াতে ‘ওয়াজহু’ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার ‘চেহারা’ বুঝানো হয়েছে (ইবনু কাছীর, আয়াতদ্বয়ের তাফসীর দ্রঃ)। উল্লেখ্য যে, অত্র আয়াতের তাফসীরে ইমাম বুখারী (রহঃ) দু’টি কওল উদ্ধৃত করেছেন। একটি হ’ল ملكه ‘তাঁর রাজত্ব’ যা মা‘মার থেকে বর্ণিত হয়েছে। এটা তিনি কেবল একাই উদ্ধৃত করেন নি, বরং অন্যান্য বিদ্বানগণও উদ্ধৃত করেছেন। যেমন ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, বাগাভী, ইবনু কাছীর, ইবনু আবিল ‘ইয ও অন্যান্যগণ। তাঁরা এখানে ‘রাজত্ব’ বলতে আল্লাহ ‘সৃষ্ট রাজত্ব’ (الملك المخلوق) বুঝাননি। বরং আল্লাহর ‘মালিকানা’ গুণ (صفة الملك) -কে বুঝিয়েছেন। কেননা কিয়ামতের দিন আল্লাহর ‘সৃষ্ট রাজত্ব’ তথা সকল মাখলূক ধ্বংস হবে। কিন্তু তাঁর ‘মালিকানা’ অক্ষুণ্ণ থাকবে। উক্ত আয়াতের তাফসীরে তিনি দ্বিতীয় কওলটি উল্লেখ করেছেন إِلاَّ وَجْهَهُ অর্থ إِلاَّ هُوَ বা جَلاَلُهُ ‘তাঁর সত্তা’ বা ‘তাঁর পরাক্রম’। যা অব্যহত থাকবে। কেননা আরবরা শ্রেষ্ঠ অংশ দ্বারা সমস্তকে বুঝায়। তেমনি এখানে আল্লাহর ‘চেহারা’ দ্বারা আল্লাহর সত্তা’-কে বুঝানো হয়েছে। বিষয়টি আরো স্পষ্টভাবে বুঝা যায় ‘তাওহীদ’ অধ্যায়ে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় আনা জাবের (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি দ্বারা (বুখারী হা/৭৪০৬ ‘তাওহীদ’ অধ্যায়, ১৬ অনুচ্ছেদ ১৩/৪০০ পৃঃ)। যেখানে বলা হয়েছে যে, সূরা আন‘আম ৬৫ আয়াত নাযিল হ’লে রাসূল (ছাঃ) বলে ওঠেন, أَعُوْذُ بِوَجْهِكَ ‘আমি তোমার সত্তার আশ্রয় প্রার্থনা করি’ (২ বার)। এখানে وَجْهٌ বা ‘চেহারা’ দ্বারা ‘আল্লাহর সত্তা’ অর্থ নেওয়া হয়েছে। যেমন বলা হয়, كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ ‘আল্লাহ তাঁর চেহারাকে সম্মানিত করুন!’। যেমন আল্লাহ বলেছেন, وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ ‘আর সেদিন কেবল তোমার প্রভুর চেহারা বাকী থাকবে, যিনি মহিয়ান ও গরিয়ান’ (রহমান ৫৫/২৭)। সূরা ক্বাছাছ ৮৮ আয়াতেও একই অর্থ বুঝানো হয়েছে। অতএব এখানে ‘ওয়াজহু’ দ্বারা আল্লাহর চেহারা বা সত্তা বুঝানো হয়েছে, তাঁর সৃষ্ট রাজত্ব নয়। কেননা এরূপ অর্থ করলে ক্বিয়ামতের দিন ধ্বংস হওয়ার মত কোন বস্ত্তই আর অবশিষ্ট থাকবে না। অথচ সেদিন সবকিছুই ধ্বংস হবে, আল্লাহর সত্তা ব্যতীত।






প্রশ্ন (১১/১১) : পানির ব্যবস্থা না থাকায় তায়াম্মুম করে ফরয ছালাত আদায় করার কিছুক্ষণ পর পানির ব্যবস্থা হয়ে গেলে এবং ওয়াক্ত থাকলে উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/১৫১) : আমার পিতা কয়েকবার হজ্জ করেছেন। কিন্তু তিনি সামান্য ভুলের জন্য আমার মাতার সাথে জঘন্য ব্যবহার করেন। মিথ্যা অপবাদ দেন। গায়ে হাত তোলেন। আমি এসব সহ্য করতে পারি না। আমার জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (১১/৩৭১) : ছালাতের মধ্যে কোথায় হাত বাঁধতে হবে?
প্রশ্ন (৩৮/৩৮) : শত্রুর পক্ষ থেকে ক্ষতির আশংকা থাকলে কি কি দো‘আ পাঠ করতে হয়? জানিয়ে বাধিত করবেন। - -আব্দুল্লাহ আল-মামূন, বাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৯/৩৯৯) : পিতা স্বীয় সন্তানকে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে মুখের উপর আঘাত করতে পারে কি? - -শরীফুল ইসলামমহেশপুর, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (২০/২৬০) : মসজিদের মিনার সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ছবিযুক্ত জায়নামাযে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ইউসুফ নাটোর।
প্রশ্ন (৪/৪৪৪) : আমার শিক্ষিকা আমাকে দেখে মাঝে মধ্যেই বলতেন, তোমাকে দেখতে ‘জাহান্নামী’ মনে হচ্ছে। অথচ আমি এমন কোন কাজ করতাম না যা জাহান্নাম ওয়াজিব করে দেয়। কাউকে ইঙ্গিত করে এমন ভাষা ব্যবহার করা জায়েয কি?
প্রশ্ন (২৫/৩৬৫) : আমার ১৪ বছর বয়সী বোনের নিকটে একটি জিন রয়েছে, যে তার গলায় তাবীয না থাকলে নানা উৎপাত করে। ইতিপূর্বে জিনটি আমার মায়ের কাছে ছিল, তখনও মাঝে মাঝে ভয় দেখাত। এক্ষণে তাবীয দেহে রাখবো না খুলে ফেলব? - -আব্দুর রাকীব, রাণীনগর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৩/১৭৩) : পিতা-মাতাকে মারধর করার পর ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে মাতা ক্ষমা করলেও জীবিত পিতা ক্ষমা করেননি। এক্ষণে আল্লাহর নিকটে তওবা করলে উক্ত গোনাহ মাফ হবে কি?
প্রশ্ন (১০/৩৭০) : আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে শারঈ কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি?
প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : আমাদের এলাকার শতভাগ মানুষ প্রতিবেশীর ফসল ক্ষতি করে হাঁস-মুরগী চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এরূপ অন্যের ক্ষতি করে হাঁস-মুরগী পালন করে উপার্জন করা বৈধ হবে কি? - সাইফুল ইসলাম লাকসাম, কুমিল্লা।
প্রশ্ন (২৬/৬৬) : ছালাতের কাতার ঠিক করে নেওয়ার দায়িত্ব কার? যদি এই দায়িত্ব ইমামের হয়, তাহ’লে তিনি না করলে কতটুকু দায়ী হবেন? কারণ মুক্তাদীরা কাতার সোজা করার প্রতি কোন গুরুত্ব দেয় না।
আরও
আরও
.