উত্তর :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, মানুষের স্বপ্ন তিন
ধরনের হয়ে থাকে (ক) ভাল স্বপ্ন, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ বহন করে (খ)
দুঃখদানকারী স্বপ্ন, যা শয়তানের পক্ষ থেকে হয় (গ) মনের মধ্যে উদ্ভূত
কল্পনা, যা স্বপ্নে দেখা যায় (মুসলিম হা/২২৬৩)।
তিনি বলেন, যখন তোমরা কেউ ভালো স্বপ্ন দেখবে, তখন আলহামদুলিল্লাহ পড়বে এবং সে নিজের প্রিয় লোকদের কাছে তা বলতে পারে (বুখারী হা/৬৯৮৫)। তিনি বলেন, ‘তোমরা আলেম এবং হিতাকাংখী ব্যতীত কারো নিকটে স্বপ্ন ব্যক্ত করো না’ (তিরমিযী হা/২২৮০)।
আর মন্দ স্বপ্ন দেখলে বাম দিকে তিনবার থুক মেরে ‘আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম’ বলবে এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করবে (মুসলিম হা/২২৬২, মিশকাত হা/৪৬১৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে দাঁড়িয়ে (দু’রাক‘আত) ছালাত আদায় করবে এবং কাউকে বলবে না। কারণ এই স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করে না (মুসলিম হা/২২৬১-৬৩, বুখারী হা/৭০৪৪; মিশকাত হা/৪৬১৩)।
উল্লেখ্য যে, সমাজে খারাপ স্বপ্ন দেখলে বা মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখলে দান-খয়রাত করার যে প্রথা সমাজে চালু আছে তা বিদ‘আত। এগুলো থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। বরং মৃত ব্যক্তির মাগফেরাতের জন্য যেকোন সময় দো‘আ ও ছাদাকবা করা যায় (মুসলিম হা/৯২০, ১৬৩১; বুখারী হা/১৩৮৮; মিশকাত হা/১৬১৯, ১৯৫০)