উত্তর : শরী‘আতে
এরূপ অনুষ্ঠানের কোন ভিত্তি নেই। বরং এরূপ অনুষ্ঠানের নামে যা কিছু হয়ে
থাকে সবই স্পষ্ট বিদ‘আত। অতএব এখানে অংশগ্রহণ করা, সহযোগিতা করা বা বক্তব্য
প্রদান করা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক। ‘ঈছালে ছওয়াব’ অর্থ ছওয়াব পৌঁছানো। অথচ
প্রত্যেক নেক আমলের ছওয়াব আল্লাহই তাকে দিবেন। তাঁর নিকটে কারু ছওয়াব
পৌঁছাতে হবে না যে সেটা নিয়ে তিনি তাকে দিবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
‘যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। কেবল তিনটি আমল
ব্যতীত। (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ (২) এমন ইলম, যার দ্বারা জনগণের কল্যাণ
সাধিত হয় এবং (৩) সুসন্তান, যে তার জন্য দো‘আ করে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩ ‘ইল্ম’ অধ্যায়)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, যদি কোন মুমিন পুরুষ বা নারী অন্য কোন
মুমিনের জন্য দো‘আ করে, তাহলে আল্লাহ তাদের প্রত্যেকের জন্য একটি করে নেকী
লিখেন’ (ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৬০২৬)। তিনি বলেন, কোন
মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য তার পিছনে দো‘আ করলে তা অবশ্যই কবুল (مسةجابة) হয়।
তার মাথার নিকটে একজন ফিরিশতা নিযুক্ত থাকে। যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য
কল্যাণের দো‘আ করে, তখনই ঐ ফিরিশতা বলে, ‘আমীন’! তোমার জন্যও অনুরূপ’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২২২৮)। অতএব ঈছালে ছওয়াবের নামে ও আখেরী মোনাজাতের নামে প্রচলিত লোক দেখানোর অনুষ্ঠানসমূহ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।