উত্তর :
আল্লাহ আরশে সমুন্নীত এবং তিনি অবশ্যই অবতরণ করেন, যেভাবে অবতরণ করা তাঁর
মর্যাদার উপযোগী হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয়
প্রহরে নিম্ন আকাশে অবতরণ করেন এবং ফজর পর্যন্ত বান্দাদের প্রতি আহবান
জানিয়ে বলেন, কে আছ আমাকে আহবানকারী, আমি তার আহবানে সাড়া দেব। কে আছ আমার
কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব। কে আছ আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি
তাকে ক্ষমা করব’। এভাবে বলতে থাকেন যতক্ষণ না ফজরের আলো স্পষ্ট হয়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২২৩; মুসলিম হা/৭৫৮)।
হাদীছটি মুতাশাবিহ। যার অর্থ স্পষ্ট। কিন্তু ধরণ অস্পষ্ট। অতএব আয়াতের
প্রকাশ্য অর্থের উপর ঈমান রাখা আবশ্যক। অস্পষ্ট বিষয়ের পিছনে ছুটতে আল্লাহ
নিষেধ করেছেন (আলে ইমরান ৭, ইসরা ৩৬)। আল্লাহর কুরসী আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে (বাক্বারাহ ২৫৫)। তাঁর তুলনীয় কিছুই নেই। তিনি সবকিছু শোনেন ও দেখেন’ (শূরা ১১)।
তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমূহে যা কিছু বর্ণিত
হয়েছে, সবকিছু প্রকাশ্য অর্থে বিশ্বাস করতে হবে কোনরূপ পরিবর্তন, প্রকৃতি
নির্ধারণ, শূন্যকরণ, তুলনাকরণ বা ন্যস্তকরণ ছাড়াই (আলোচনা দ্রঃ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ থিসিস, পৃঃ ১১৭)।
মানবজাতিকে আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞানের খুব সীমিত অংশই দান করেছেন। তাছাড়া
পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রভাবিত মানুষের জ্ঞান ত্রুটিহীন নয়। সুতরাং গায়েবের
বিষয় নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা নিতান্তই নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। বরং ছহীহ
হাদীছটির প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রেখে আল্লাহর ইবাদতে রত হ’তে হবে।